—ফাইল চিত্র
আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে হার্দিক পাণ্ড্যর পিছু ছাড়েনি খারাপ ছন্দ, চোট, অস্ত্রোপচার, বিতর্ক। কিন্তু সেই সব কিছু হাসি মুখে সইতে পারেন তিনি। গুজরাত টাইটান্সকে আইপিএলের ফাইনালে তুলে সেই কথাই জানালেন হার্দিক।
এ বারের আইপিএলে অলরাউন্ডার হার্দিকের সঙ্গে দেখা গেল অধিনায়ক হার্দিককে। প্রথম বার আইপিএলে নেতৃত্ব দিলেন তিনি। তাঁর দল গুজরাতও প্রথম বার খেলতে নেমেছিল আইপিএলে। প্রথম বারেই ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা। এর পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে হার্দিকের। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “লোকে অনেক কথাই বলবে, সেটাই তাদের কাজ। আমি সেটা আটকাতে পারব না। আসলে হার্দিক পাণ্ড্য নামটাই সব সময় বিক্রি হয়। আমার সেটা নিয়ে কোনও অসুবিধা নেই। আমি হাসি মুখে সে সব কিছু নিই।”
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ভাল খেলে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পান হার্দিক। তাঁর সঙ্গে তুলনা শুরু হয়ে যায় কপিল দেবের। হার্দিককে নিয়ে সকলের আশা রকেটের গতিতে বাড়তে থাকে। কিন্তু ২০১৯ সালে হার্দিকের খেলার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। একটি অনুষ্ঠানে মেয়েদের সম্পর্কে কটূক্তি করায় শাস্তি পান হার্দিক। পরবর্তী সময়ে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন বোর্ডের কাছে। দলেও ফেরেন। তবে ভারতের হয়ে শেষ বার তাঁকে খেলতে দেখা গিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে। বোলিং নিয়েও সমস্যায় ছিলেন হার্দিক। পিঠের চোটের জন্য বল করতে পারছিলেন না তিনি।
এই মরসুমে ১৫ কোটি টাকা দিয়ে হার্দিককে দলে নেয় গুজরাত। সেই দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় হার্দিকের শান্ত স্বভাব দেখে অনেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মিল পেয়েছেন। হার্দিক বলেন, “আমার জীবনে মাহি ভাইয়ের অনেক বড় ভূমিকা আছে। ও আমার দাদা, বন্ধু এবং পরিবারের সদস্য। আমি অনেক কিছু শিখেছি ওঁর থেকে। নিজেকে ব্যক্তিগত ভাবে আরও কঠিন করে তুলেছি। আমি সে ব্যাপারে গর্বিত। সব দিক যে ভাবে সামলাচ্ছি তাতে আমার নিজের খুব ভাল লাগছে।”
হার্দিক নিজেকে আগের থেকে অনেক বেশি শান্ত করেছেন। তিনি অনেক ভেবে চিনতে খেলার দিকে মন দিয়েছেন। ইডেনে ১৮৯ রান তাড়া করে জিতেছে গুজরাত। সেখানে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। অন্য দিকে ডেভিড মিলার ৩৮ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। হার্দিক অন্য দিকে শান্ত মাথায় এক দিক ধরে রেখেছিলেন।