—ফাইল চিত্র
তারা পাঁচ বারের আইপিএলজয়ী। অথচ এ বারের আইপিএলে দুর্দশা চলছে প্রথম ম্যাচ থেকে। টানা পাঁচটি ম্যাচ হেরেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এ বারের আইপিএলে প্রথম চারে থাকার লড়াই থেকেই ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কেন এমন অবস্থা রোহিত শর্মার দলের?
রোহিতের ব্যর্থতা
প্রথম ম্যাচে ৪১ রান করার পর রোহিতের বাকি ম্যাচে স্কোর ১০, ৩, ২৬, ২৮ এবং ৬। দলের অধিনায়ক ব্যাট হাতে দিশা দেখাতে পারছেন না। তাঁর ব্যাটে রানের খরা। শুরুতেই রোহিতের উইকেট হারিয়ে প্রতি ম্যাচে বিপদে পড়ছে মুম্বই। যে ধাক্কা মাঝের ওভারে ব্যাট করতে নেমে ঢাকতে পারছেন না সূর্যকুমার যাদবরা।
নিলামেই বিপদ
এ বারের নিলামের আগে চার ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছিল মুম্বই। তাঁদের মধ্যে রোহিত ব্যর্থ, যশপ্রীত বুমরা ব্যর্থ এবং কায়রন পোলার্ড বিধ্বংসী ছন্দে নেই। এক মাত্র সূর্যকুমার রান পাচ্ছেন। কিন্তু ম্যাচ জেতাতে পারছেন না। জোফ্রা আর্চারকে কিনেছে মুম্বই, কিন্তু তিনি চোটের জন্য খেলছেন না। ঈশান কিশনও গত বারের মতো ছন্দে নেই। এমন অবস্থায় মুম্বই দলে ম্যাচ জেতানোর ক্রিকেটারের অভাব হয়েছে।
চতুর্থ এবং পঞ্চম বোলারের অভাব
মুম্বই দলের বোলারদের মধ্যে বুমরা যেমন ব্যর্থ, তেমনই ব্যর্থ বাসিল থাম্পি। বল হাতে পোলার্ডও রান দিচ্ছেন। টাইমাল মিলস এবং মুরুগান অশ্বিনের উপর ভরসা রাখতে হচ্ছে পাঁচ বারের আইপিএলজয়ীদের। কিন্তু তাঁরা কেউই ম্যাচ জেতানো বোলিং করতে পারছেন না। বোলিং বিভাগের দুর্বলতার কারণে ম্যাচ হারতে হচ্ছে মুম্বইকে।
পাণ্ড্য ভাইদের অনুপস্থিতি
এ বার হার্দিক পাণ্ড্য এবং ক্রুণাল পাণ্ড্য নেই মুম্বই দলে। নিলামের আগেই তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে মুম্বই। মাঝের ওভারে তাঁদের ব্যাটিংয়ের অভাব পূরণ হচ্ছে না। বল হাতেও অন্যদের অভাব ঢেকে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল পাণ্ড্য ভাইদের, সেটাও পাচ্ছে না মুম্বই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতিয়েছেন পাণ্ড্যরা। সেটাই হচ্ছে না এ বার।
ম্যাচ উইনারের অভাব
যে কোনও পরিস্থিতি থেকে মুম্বইকে জেতানোর ক্ষমতা ছিল পোলার্ড, হার্দিক, বুমরাদের। কিন্তু এ বছর হার্দিক নেই, বাকিরা ম্যাচ জেতানোয় বড় ভূমিকা নিতে ব্যর্থ। অনামি ক্রিকেটারদের তুলে আনার ক্ষেত্রেও মুম্বই বার বার বড় ভূমিকা নেয়। এ বার তারা তিলক বর্মার উপর ভরসা রেখেছে। তিনি রানও করছেন, কিন্তু সঙ্গীর অভাব রয়েছে তাঁর।