কেন ধোনিই আবার অধিনায়ক ফাইল ছবি
শনিবার সন্ধেয় আচমকাই চমকে গেলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। চেন্নাই সুপার কিংসের একটি দু’লাইনের বিবৃতি ঝড় তুলল আইপিএলের মহাকাশে। সেখানে বলা হয়, খেলায় মনঃসংযোগ করার জন্যে অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন রবীন্দ্র জাডেজা। সেই দায়িত্ব তুলে নিচ্ছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। প্রত্যেকেই এই খবরে খুশি। তাঁদের আশা, প্লে-অফ কার্যত দুরূহ হলেও চেন্নাইয়ের সুদিন ফেরাতে পারেন ধোনিই। কেন ৪০ বছর বয়সেও তাঁকেই ফের অধিনায়ক করা হল, সেই উত্তর খুঁজল আনন্দবাজার অনলাইন।
চেন্নাইয়ের আবেগ: ধোনিকে ঘিরে চেন্নাইয়ের আবেগের কোনও বিকল্প নেই। চেন্নাই সমর্থকরা ধোনি বলতে স্রেফ অজ্ঞান। আদর করে দীর্ঘ দিন ধরেই ধোনিকে ‘থালা’, অর্থাৎ বড়ভাই বলে ডাকেন সমর্থকরা। সেই ধোনি মরসুম শুরুর আগে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ায় শুধু চেন্নাই সমর্থকরা নন, তাঁর সমস্ত সমর্থকরাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সেই আনন্দ আবার তাঁরা ফিরে পেলেন। ধোনিকে ঘিরে চেন্নাইয়ের যে আবেগ, তা আবার দেখা যেতে চলেছে। ফলে সমর্থকদের কথা ভেবেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ধোনির সাফল্য: চার বার দলকে ট্রফি জিতিয়েছেন। বহু বার শেষ চারে তুলেছেন। দলকে আইপিএলের সেরা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। হলুদ জার্সিতে ধোনির সাফল্য প্রশ্নাতীত। ফলে তাঁকে অধিনায়ক করার মধ্যে কোনও প্রশ্ন নেই। এই মরসুমে তাঁদের শেষ চারে ওঠা বা কোনও সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু বাকি ম্যাচগুলিতে চেন্নাই যদি জিততে পারে, তা হলে সেই সাফল্যের কৃতিত্ব যে ধোনিরই হবে এটা নিয়ে সন্দেহ নেই।
ধোনির অভিজ্ঞতা: আইপিএলের শুরু থেকে এই দলের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। ফলে দলের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলেছেন নিজেকে। ধোনি এবং চেন্নাইকে আলাদা করার কোনও উপায় নেই। কোন পথে দল সাফল্য পাবে সেটা তাঁর থেকে ভাল কেউ জানে না। আইপিএলে খেলতে গেলে তারুণ্য লাগে বটে, তবে অভিজ্ঞতাও অনেক সময় কাজে দেয়। দীর্ঘ দিন অধিনায়ক থাকার সুবাদে সতীর্থদের থেকে কী ভাবে সেরাটা বের করে আনতে হয়, সেটা ধোনির থেকে ভাল কেউ জানেন না।
জাডেজার ব্যর্থতা: আগে কোনও দিন অধিনায়কত্ব করেননি জাডেজা। এর আগে দু’-একটি ম্যাচে ধোনির অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেন সুরেশ রায়না, যিনি চেন্নাই সমর্থকদের কাছে পরিচিত ‘চিন্নাথালা’, অর্থাৎ ছোটভাই নামে। আচমকা নেতৃত্ব পেয়ে গিয়েছিলেন জাডেজা। ব্যর্থতা দেখে পরিষ্কার, অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে তৈরি করে তোলার সময়ই পাননি তিনি। গুছিয়ে নিতে নিতে প্লে-অফের আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল।
আইপিএলে জনপ্রিয়তা হ্রাস: এমনিতেই আইপিএলের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে এ বার। সেই জনপ্রিয়তা আরও হ্রাস পায় ধোনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ায়। বিরাট কোহলী আগেই সরে গিয়েছিলেন। ধোনিও চলে যাওয়ায় উৎসাহ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যায়। ধোনিকে ফের নেতা বানিয়ে সেই জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করারও কিছুটা চেষ্টা করা হয়েছে।