ডেভিড ওয়ার্নার। ছবি: আইপিএল
ন’টা ম্যাচ খেলে জয় এসেছে মাত্র চারটি ম্যাচে। আইপিএলের ফাইনালে ওঠার পথ কিছুটা কঠিন হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে। এই পরিস্থিতিতে লিগ পর্বের বাকি ম্যাচগুলিতে জয় ছাড়া কিছু ভাবতে চাইছেন না ডেভিড ওয়ার্নার।
বিশ্ব ক্রিকেটে বিস্ফোরক ব্যাটার হিসেবেই পরিচিত ওয়ার্নার। কিন্তু আইপিএলে তাঁর দল ভুগছে ধারাবাহিকতার অভাবে। নিজেও সব ম্যাচে রান পাচ্ছেন না। কিন্তু পিছনে তাকাতে রাজি নন অস্ট্রেলীয় ব্যাটার। পরের সব ম্যাচ জিতে প্রতিযোগিতার নক আউট পর্বে পৌঁছতে চান তিনি।
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে দিল্লি। প্রাথমিক লক্ষ্য সেরা চার দলের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া। ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘আমরা যেখানে রয়েছি সেখান থেকে সামনে এগোতে হলে আমাদের অবশ্যই বাকি সব ম্যাচ জিততে হবে। তবেই আমরা ফাইনালে পৌঁছতে পারব। প্রতিযোগিতা বেশ কঠিন। পঞ্জাব কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পয়েন্ট আমাদের মতোই। তাই অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।’’
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থান থেকে নবম স্থানে থাকা দলগুলোর সংগ্রহ ৬ থেকে ১০ পয়েন্ট। অর্থাৎ, সকলের সামনেই নক আউট পর্বে যাওয়ার রাস্তা খোলা। কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগের দিন সতর্ক ওয়ার্নার। তিনি বলেছেন, ‘‘হায়দরাবাদকে হারাতে পারলে আমরা একটু সুবিধাজনক জায়গায় থাকব। তা হলে আমরা প্রথম চারের মধ্যে যেতে পারি। একই সঙ্গে চাইব রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর কয়েকটা ম্যাচ হারুক। আমাদের একটু সুবিধা হবে। পয়েন্ট তালিকাটা একটু ঘিঞ্জি দেখাচ্ছে। যদিও এটা প্রতিযোগিতার বাকি অংশকে বেশ উত্তেজিত রাখবে।’’
ওয়ার্নার মেনে নিয়েছেন রান তাড়া করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য কয়েকটি ম্যাচ হারতে হয়েছে তাঁদের। বলেছেন, ‘‘ফলাফলগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন বড় রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়ে আমরা কিছু ম্যাচ হেরেছি। কাছাকাছি গিয়েও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। এটা হতাশার। বাকি ম্যাচগুলোয় স্বাভাবিক খেলা খেলতে হবে। অনুশীলনে সঠিক প্রস্তুতি নিতে হবে। মাঠে প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করার জন্য তৈরি হতে হবে।’’
পৃথ্বী শয়ের সঙ্গে ওপেন করে খুশি ওয়ার্নার। তিনি বলেছেন, ‘‘শেষ ম্যাচেই আমরা খুব ভাল শুরু করেছিলাম। কিন্তু দু’জনেই খারাপ ভাবে আউট হলাম। এরকম হতেই পারে। কারণ প্রথমত এটা অত্যন্ত উচ্চ মানের ক্রিকেট, তার উপর আমরা পাওয়ার প্লে-র সময় ব্যাট করছি। ধরে খেলার সুযোগ নেই।’’ ওয়ার্নার মনে করেন তিনি, পৃথ্বী এবং মিচেল মার্শের মধ্যে কেউ এক জন ৮০ বা ৯০ রানের ইনিংস খেলতে পারলেই ম্যাচের ফল অন্য রকম হবে। অন্য দলের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিক মতো করাই সেরা উপায় বলে মনে করছেন দিল্লি দলের এই অস্ট্রেলীয় ব্যাটার।