ধোনি ও জাডেজা। —ফাইল ছবি
২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার ফুটবলারদের নাকি কয়লা খনিতে কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল শাস্তি স্বরূপ। আর আইপিএলের প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হারের পর চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটারদের দেওয়া হল রাজমিস্ত্রির কাজ।
ছাড় পেলেন না মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও। অধিনায়ক রবীন্দ্র জাডেজাও রেহাই পেলেন না। রবীন উথাপ্পা, ডোয়েন ব্যাভোদের সঙ্গে ইট, বালি, সিমেন্ট নিয়ে দেওয়াল গাঁথতে হল তাঁদেরও। ক্রিকেটাররা সকলে ঠিক মতো কাজ করছেন কি না, সে দিকে কড়া নজর ছিল কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের।
মাত্র একটা ম্যাচে হারেই ধোনিদের এমন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হলে এর পর কী অপেক্ষা করছে!
না না, তেমন কিছুই নয়। আসলে দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে একাত্মবোধ বৃদ্ধির জন্যই এমন মজার আয়োজন করা হয়েছিল। ক্রিকেটাররা বালি, সিমেন্ট মেখে পর পর ইট গাঁথলেন। লক্ষ্য, সেই গাঁথনির মতোই শক্ত হোক ক্রিকেটারদের বন্ধন। একে অপরের সঙ্গে আরও একাত্ম হোন। একটা পরিবার হয়ে উঠতে পারলেই মাঠেও দল হিসেবে পারফর্ম করতে সমস্যা হবে না। ছোট সমস্যা বড় হতে পারবে না।
সিএসকে প্রথম থেকেই দলকে পরিবারের মতো রাখতে চায়। লম্বা প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা যাতে একাকিত্মে না ভোগেন, সে দিকে নজর রাখা হয়। দলের পুরনো সদস্যরা এই পরিবেশ, আবহের সঙ্গে পরিচিত। নতুনদের পরিচিত করতেই এই উদ্যোগ সিএসকে কর্তৃপক্ষের। ক্রিকেটারদের মধ্যে একাত্মতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগ নেট মাধ্যমে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ।
এই উদ্যোগে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাজ হল। মজা, খেলার ছলে ক্রিকেটারদের মধ্যে বন্ধুত্ব যেমন দৃঢ় হল, তেমনই চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক ইন্ডিয়া সিমেন্টের প্রচারও হল কিছুটা।