রভম্যান পাওয়েলকে করা ওবেড ম্যাকয়ের ফুলটস কোমরের উপরে ছিল বলে দাবি জানান ঋষভ পন্থরা। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়াররা। ফলে ক্রিকেটারদের মাঠ ছেড়ে চলে আসার নির্দেশ দেন পন্থ। যদিও শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি।
নিয়ম কী বলছে ফাইল চিত্র
দিল্লি-রাজস্থান ম্যাচের শেষ ওভারে নো বল বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। রভম্যান পাওয়েলকে করা ওবেড ম্যাকয়ের ফুলটস কোমরের উপরে ছিল বলে দাবি জানান ঋষভ পন্থরা। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়াররা। ফলে ক্রিকেটারদের মাঠ ছেড়ে চলে আসার নির্দেশ দেন পন্থ। যদিও শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি। এই বিতর্কে প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা নিজেদের মতামত দিচ্ছেন। কেউ দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়কের সমালোচনা করছেন, তো কেউ পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু কী বলছে নিয়ম? সত্যিই কি তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হতে পারেন মাঠের আম্পায়াররা? দিল্লি শিবিরের দাবি কি বৈধ?
ক্রিকেটের নিয়ম কী বলছে?
সাধারণত ক্রিকেটে যদি মাঠের আম্পায়াররা মনে করেন যে কোনও বোলারের করা ফুলটস ব্যাটারের কোমরের উপরে গিয়ে লেগেছে কি না তা নিয়ে তাঁরা সংশয়ে রয়েছেন, তা হলে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে আবেদন করতে পারেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
আইপিএলের নিয়ম কী বলছে?
আইপিএলের নিয়ম অবশ্য কিছুটা আলাদা। এই প্রতিযোগিতায় যদি ফুলটসে কোনও ব্যাটার আউট হন, এক মাত্র তখনই তৃতীয় আম্পায়ার খতিয়ে দেখেন যে বলটি কোমরের থেকে বেশি উচ্চতায় ছিল কি না। অন্য কোনও ক্ষেত্রে কোমরের উপরে ফুলটস হয়েছে কি না সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় মাঠের আম্পায়ারকেই। তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ তাঁরা হতে পারবেন না।
অর্থাৎ দিল্লি শিবিরের তরফে যে আবেদন করা হচ্ছিল তাতে সাড়া দিতে পারতেন না আম্পায়াররা। কারণ রিপ্লে-তে যতই দেখা যাক যে ওবেড ম্যাকয়ের বল রভম্যান পাওয়েলের কোমরের উপরে লেগেছে, তার পরেও প্রথমে নেওয়া সিদ্ধান্ত বদল করতে পারতেন না তাঁরা। তবে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়েছিল তাঁদের। কারণ রিপ্লে-তে স্পষ্ট দেখা যায় সেটি নো বল ছিল। এই বিতর্কের পরে নিয়ম বদলের দাবি জানিয়েছেন অনেকে। তাঁদের মতে, সামনের পায়ের নো বল হচ্ছে কি না সেটি যেমন প্রতি বলে তৃতীয় আম্পায়ার খতিয়ে দেখেন, কোমরের উপরে ফুলটসের ক্ষেত্রেও সেটা করা উচিত।