গুজরাতকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিলেন (বাঁ দিকে) সুদর্শন এবং শাহরুখ। ছবি: পিটিআই।
শুভমন গিল, ঋদ্ধিমান সাহার ব্যর্থ হওয়ার দিনে ভাল খেললেন সাই সুদর্শন এবং শাহরুখ খান। দুই ব্যাটারের অর্ধশতরানের সৌজন্যে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে আমদাবাদে ২০০/৩ তুলল গুজরাত টাইটান্স। বোলিংয়ে শুরুটা ভাল করেও পরের দিকে ধরে রাখতে পারল না বেঙ্গালুরু।
আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাতে শুরুটা ভাল হয়নি। প্রথম ওভারেই ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহা। স্বপ্নিল সিংহের বলে চার মারলেও মাত্র পাঁচ রান করে ফিরে যান গুজরাতের ওপেনার। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে সাই সুদর্শনের সঙ্গে জুটি বেঁধে গুজরাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক শুভমন গিল। কিন্তু আইপিএলে খারাপ ফর্ম অব্যাহত গুজরাতের অধিনায়কের। এমনিতেই রান করছিলেন ধীর গতিতে। ১৯ বলে ১৬ রান করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
গুজরাতের খেলা এর পরেই বদলে যায়। এ বারের আইপিএলে এত দিন ভাল ফর্মে ছিলেন না শাহরুখ খান। পঞ্জাব থেকে গুজরাতে যোগ দেওয়ার পর পুরনো ছন্দ ফিরে পাচ্ছিলেন না। বেঙ্গালুরু তাঁকে ফর্মে ফেরাল। নবম ওভারে ম্যাক্সওয়েলকে একটি ছয় এবং চার মেরে শুরু। এর পর কর্ণ শর্মা, ক্যামেরন গ্রিন কেউ ছাড় পেলেন না। গ্রিনের একটি ওভারে দু’টি চার এবং একটি ছয় মারেন শাহরুখ। খারাপ খেলছিলেন না সুদর্শনও। বেঙ্গালুরুর বোলারদের বিরুদ্ধে তিনিও চালিয়ে খেলছিলেন।
শাহরুখকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। ইয়র্কার বল খেলতেই পারেননি শাহরুখ। তিনটি চার এবং পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে ৩০ বলে ৫৮ করেন তিনি। তবে শাহরুখ ফিরলেও সুদর্শন থামেননি। আগের মতোই আগ্রাসী খেলতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মারেন আটটি চার এবং চারটি ছয়। ১৯ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।