(বাঁ দিকে) আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
আইপিএল জয়ের হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে উঠেছে তারা। পরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে ফাইনালে উঠেছে হায়দরাবাদও। অর্থাৎ, রবিবার ফাইনালে কলকাতা বনাম হায়দরাবাদ।
চলতি আইপিএলে গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়েছিল কেকেআর। ফাইনালে সেই হায়দরাবাদকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে শ্রেয়স আয়ারেরা। চেন্নাইয়ের মাঠে হায়দরাবাদকে হারাতে কোন পাঁচটি পরিকল্পনা কাজে লাগাতে হবে নাইট রাইডার্সকে?
১) শুরুতে স্পিন আক্রমণ— হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রেভিস হেড ও অভিষেক শর্মা পেসারদের বিরুদ্ধে অবলীলায় বড় শট খেলতে পারেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে শুরুতে স্পিন আক্রমণ কাজে লাগাতে পারে কেকেআর। চলতি আইপিএলে দেখা গিয়েছে, স্পিনের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও নড়বড়ে তাঁরা। গত দু’টি ম্যাচে রান পাননি হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। তাই ফাইনালে চাপে থাকবেন তাঁরা। চেন্নাইয়ের পিচে স্পিনারেরা সুবিধা পান। কেকেআরে সুনীল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তী রয়েছেন, যাঁরা পাওয়ার প্লে-তে বল করতে পারেন। তাই হায়দরাবাদের দুই ওপেনারের বিরুদ্ধে শুরুতে স্পিনারদের হাতে বল তুলে দিতে পারেন শ্রেয়স।
২) বলের গতির হেরফের— হায়দরাবাদের বেশির ভাগ ব্যাটার হার্ড হিটার। অর্থাৎ, খুব জোরে বল মারেন। দুই ওপেনার ছাড়াও রাহুল ত্রিপাঠি, নীতীশ রেড্ডি, হেনরিখ ক্লাসেন, আব্দুল সামাদেরা সেই তালিকায় পড়েন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে বলের গতির হেরফের করতে হবে পেসারদের। অনেক সময় মন্থর বল জোরে মারতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন ব্যাটারেরা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দেখা গিয়েছে, চেন্নাইয়ের পিচে মন্থর বল করলে শট খেলতে সমস্যা হচ্ছে। সেটা কাজে লাগাতে পারেন মিচেল স্টার্ক, হর্ষিত রানারা।
৩) বোলিং পাওয়ার প্লে-তে রান কম দেওয়া— হায়দরাবাদের দুই ওপেনার পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে রান করেন। চলতি মরসুমে যে কয়েকটি ম্যাচে হায়দরাবাদ ২০০-র বেশি রান করেছে, প্রতিটিতে দুই ওপেনার ভাল শুরু করেছেন। পাওয়ার প্লে-তেই বড় রান তুলেছেন তাঁরা। তাই কেকেআরকে পাওয়ার প্লে-র জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। পাওয়ার প্লে-তে রান কম দিলে পরে চাপে পড়বে হায়দরাবাদ। প্রথম কোয়ালিফায়ারে সেটাই করেছিল কেকেআর। ফাইনালেও তা করতে হবে।
৪) ব্যাটিং পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো— কেকেআরও যে কয়েকটি ম্যাচে ২০০-র বেশি রান করেছে, সেখানে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়েছে তারা। সুনীল নারাইন ও ফিল সল্টের জুটি কেকেআরকে ভাল শুরু দিয়েছে। প্লে-অফে সল্ট নেই। তাঁর অভাব ঢাকতে হবে রহমানুল্লা গুরবাজ়কে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ভাল দেখিয়েছে তাঁকে। ফাইনালে প্রথম ছ’ওভারে বড় রান তুলতে পারলে লড়াইয়ে এগিয়ে যাবে কেকেআর।
৫) স্পিনারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ— হায়দরাবাদের পেস আক্রমণ ভাল। ভুবনেশ্বর কুমার, প্যাট কামিন্স, টি নটরাজনেরা ভাল বল করছেন। তুলনায় স্পিন আক্রমণ দুর্বল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শাহবাজ় আহমেদ, অভিষেক শর্মারা ভাল বল করলেও তাঁদের অভিজ্ঞতা কম। কেকেআরের মিডল অর্ডারে নীতীশ রানা, শ্রেয়স, বেঙ্কটেশ আয়ারেরা রয়েছেন, যাঁরা স্পিন ভাল খেলেন। তাই স্পিনারদের বিরুদ্ধে রান করতে পারলে চাপে পড়বেন প্যাট কামিন্সেরা। তাতে সুবিধা হবে কেকেআরের।