দাম পেল না নারাইনের ইনিংস। ছবি: আইপিএল
স্কোরবোর্ডে ২২৩ রান। সুনীল নারাইনের শতরান। তার পরেও কলকাতা ঘরের মাঠে হেরে গেল রাজস্থান রয়্যালসের কাছে। নারাইনকে ছাপিয়ে নায়ক হয়ে গেলেন জস বাটলার। শতরান করে একার হাতে রাজস্থানকে জিতিয়ে দিলেন তিনি। তবে বাটলার একা নন, রাজস্থানের জয়ের পিছনে রয়েছে কলকাতার বোলারদের অবদানও। সেগুলি তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।
বাটলারের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং
চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় শতরান হয়ে গেল বাটলারের। সব মিলিয়ে আইপিএলের সপ্তম। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে ভাবে তিনি খেললেন, তাকে বুদ্ধিদীপ্ত শতরান ছাড়া কিছু বলা যায় না। উল্টো দিকে সে ভাবে সঙ্গী পেলেনই না। কিন্তু ধৈর্য রেখে শেষ বল পর্যন্ত লড়ে গেলেন। কখনও ধরে, কখনও মেরে খেললেন। বাটলারের ইনিংসে ভর করে জিতল রাজস্থান।
মাঝের দিকে রিয়ান, পাওয়েলের ঝড়
বাটলারের ইনিংস দাম পেত না যদি মাঝে এসে রিয়ান পরাগ বা রভমান পাওয়েলের ইনিংস থাকত। প্রথম রিয়ান নেমে স্বভাবোচিত ভঙ্গিতে খেলে ১৪ বলে ৩৪ রান করলেন। তার পরেও রাজস্থানের আর একটা পারফরম্যান্স দরকার ছিল। সেটাই করলেন পাওয়েল। কলকাতার বোলারদের মাঠের চারদিকে পাঠিয়ে ১৩ বলে ২৬ করলেন। ওটাই উল্টো দিকে থাকা বাটলারকেও আত্মবিশ্বাসী করে তুলল।
শ্রেয়সের খারাপ অধিনায়কত্ব
আগের ম্যাচগুলিতে কলকাতা জিতলেও শ্রেয়সের নেতৃত্বকে কখনও ‘ফুল মার্কস’ দেওয়া যাচ্ছে না। এ দিন কেন তিনি হঠাৎ আন্দ্রে রাসেলকে বল করাতে নিয়ে এলেন তিনিই জানেন। ওই ওভারে রাসেলের ১৭ রান ম্যাচে অনেক পার্থক্য গড়ে দিল। রাজস্থানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনল একটা ওভারই। শেষ ওভারে বরুণ চক্রবর্তীকে বল করানোও ভুল। বরুণ আগে উইকেট নিলেও তিনি কখনওই শেষ ওভার বল করার মতো বোলার নন। ডেথ ওভারে তিনি কার্যকরী নন।
ভাল মানের জোরে বোলার না থাকা
মিচেল স্টার্ককে কিনতে এত টাকা কলকাতার খরচ হয়েছে যে দলের কাছে ভাল মানের জোরে বোলার। এই আলোচনা নিলামের পরেও হয়েছিল। রাজস্থান ম্যাচ আরও এক বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। হর্ষিত রানা বা বৈভব অরোরা আপ্রাণ চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু ম্যাচ জেতানো বোলার এখনও হয়ে উঠতে পারেননি। চাপের মুখে কী ভাবে নিয়ন্ত্রিত বল করতে হয় তা শেখা এখনও বাকি। যে কারণে ডেথ ওভারে একের পর এক খারাপ বল করে রান দিলেন।
স্টার্কের ‘ফর্মে’ ফেরা
২৫ কোটি ক্রিকেটার আবার ‘ফর্মে’ ফিরলেন। লখনউয়ের বিরুদ্ধে তিন উইকেট নেওয়ার পর অনেকেই ধরেছিলেন যে স্টার্ক জাত চিনিয়েছেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে আবার ‘অর্ধশতরান’ করলেন স্টার্ক। চার ওভারে দিলেন ৫০ রান। আইপিএলের মাঝে কোনও নিলাম হলে নিঃসন্দেহে স্টার্ককে সবার আগে ছেড়ে দিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্টার্ক দলের বোঝা হয়ে গিয়েছেন কি না, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।