দিল্লির উইকেট পড়ার পরে কলকাতার ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলে জয়ের ধারা বজায় রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে তারা। বিশাখাপত্তনমে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১০৬ রানে হারাল গৌতম গম্ভীরের দল। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান করে কেকেআর। সেই রান তাড়া করতে পারেনি দিল্লি। তাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৬৬ রানে।
অ্যাওয়ে ম্যাচে কলকাতার জয়ের পাঁচ কারণ কী কী, খুঁজে দেখল আনন্দবাজার অনলাইন।
১) সুনীল নারাইনের ইনিংস কেকেআরের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। আবার ওপেন করতে নেমে ৩৯ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সাতটি চার ও সাতটি ছক্কা মারেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। দিল্লির কোনও বোলারকে রেয়াত করেননি তিনি। নারাইনের ইনিংসেই খেলা থেকে হারিয়ে যায় দিল্লি।
২) আইপিএল অভিষেকে অর্ধশতরান করেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রান তোলার গতি কমতে দেননি তিনি। ২৭ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন এই ডান হাতি ব্যাটার। নারাইনের সঙ্গে শতরানের জুটি বাঁধেন তিনি। রঘুবংশী না থাকলে নারাইন অতটা বিধ্বংসী খেলতে পারতেন না। তাই সমান প্রশংসা প্রাপ্য ১৮ বছর বয়সি এই ব্যাটারের।
৩) আরও এক বার দেখা গেল আন্দ্রে রাসেল শো। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক শট মারা শুরু করেন তিনি। যেখানে নারাইন শেষ করেন সেখান থেকে শুরু করেন রাসেল। ১৯ বলে ৪১ রান করেন তিনি। চারটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন রাসেল। দলের রান ২৫০ পার করাতে বড় ভূমিকা নেন তিনি।
৪) কেকেআরকে সুবিধা করে দেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। নারাইন যখন ১৮ রানে ব্যাট করছেন তখন ইশান্ত শর্মার একটি বল তাঁর ব্যাটে লেগে পন্থের কাছে যায়। তিনি বুঝতে পারেননি। আম্পায়ারও আউট দেননি। তিনি যখন রিভিউ নিতে যান তত ক্ষণে সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই সময় নারাইন আউট হলে সমস্যায় পড়তে পারত কলকাতা। পরে শ্রেয়স আয়ারের একটি ক্যাচও বুঝতে পারেননি পন্থ। সে বারও রিভিউ নেননি তিনি।
৫) ২৭৩ রান তাড়া করা কঠিন হলেও দিল্লি ক্যাপিটালস শুরু ভাল করলে কিছুটা চাপে পড়ত কলকাতা। সেটা হতে দেননি মিচেল স্টার্ক। দিল্লির দুই ভয়ঙ্কর ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শকে আউট করেন তিনি। সেখানেই দিল্লি হেরে যায়। বাকিরা অনেক চেষ্টা করেও পারেননি। তাই এই জয়ে স্টার্কেরও ভূমিকা রয়েছে।