২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ খেলতে যায় ভারত। প্রথম ম্যাচে জয়ের পরে দ্বিতীয় ম্যাচে এক রানে হারে ভারত। সেই ম্যাচেই নজর কাড়েন ব্র্যাভো। ভারতের ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও একা লড়ছিলেন যুবরাজ। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম দু’বলে ব্র্যাভোকে দু’টি চার মারেন তিনি। তৃতীয় বলে যুবরাজকে বোল্ড করে দেন ব্র্যাভো।
যুবরাজের প্রসঙ্গ তুললেন কোন ক্রিকেটার ফাইল চিত্র
টি২০-র অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বলা হয় তাঁকে। ব্যাটিংয়ের থেকেও তাঁর বোলিংয়ের বৈচিত্রের জন্য জনপ্রিয় তিনি। আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (১৭১ উইকেট) হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন তারকা ডোয়েন ব্র্যাভো। অথচ তাঁকে টি২০ বোলার হিসাবে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার পিছনে নাকি রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহ। নিজেই যুবরাজের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন তিনি।
২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ খেলতে যায় ভারত। প্রথম ম্যাচে জয়ের পরে দ্বিতীয় ম্যাচে এক রানে হারে ভারত। সেই ম্যাচেই নজর কাড়েন ব্র্যাভো। ভারতের ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও একা লড়ছিলেন যুবরাজ। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম দু’বলে ব্র্যাভোকে দু’টি চার মারেন তিনি। তৃতীয় বলে যুবরাজকে বোল্ড করে দেন ব্র্যাভো। তাঁর বলের বৈচিত্র ধরতেই পারেননি যুবরাজ।
এত বছর পরে সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্র্যাভো জানান, তৃতীয় বলের আগে অধিনায়ক ব্রায়ান লারার সঙ্গে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে কথা হলেও কী বল করবেন তা আগে থেকে ভাবেননি তিনি। ব্র্যাভোর কথায়, ‘‘আমি ভাবিনি কী বল করব। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে মনে হয় উইকেট লক্ষ্য করে ধীরে বল করব। সেটাই করি। যুবরাজ বলটা ব্যাটে লাগাতে পারেনি।’’
পরের বছর থেকে টি২০ ক্রিকেট শুরু হয়। প্রথম থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ছিলেন ব্র্যাভো। এখনও পর্যন্ত প্রতিটি টি২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। যুবরাজকে ওভাবে আউট না করলে হয়তো ছোট ফরম্যাটে তিনি এতটা গুরুত্ব পেতেন না। তাই সেই বলটিকে তাঁর করা সেরা বল হিসাবে মনে করেন ব্র্যাভো।