চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (বাঁ দিকে) ও ডেভন কনওয়ে বড় রান করলেন। ছবি: আইপিএল
১৪২৭ দিন পরে ঘরের মাঠে খেলতে নেমে বদলে গেল চেন্নাই সুপার কিংসের খেলা। প্রথম বল থেকে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন হলুদ জার্সিধারীরা। পর পর দু’ম্যাচে অর্ধশতরান করলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। অন্য ওপেনার ডেভন কনওয়েও রান করলেন। চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখা গেল চিপকে। প্রথমে ব্যাট করে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ২১৭ রান করলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। শেষ ওভারে ব্য়াট করতে নেমে মাত্র ৩ বলে ১২ রান করলেন ধোনি। মারলেন দু’টি বিশাল ছক্কা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামলেও প্রথম বল থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল রুতুরাজকে। গত ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন এই ম্যাচে সেখান থেকেই শুরু করলেন। অবলীলায় বড় শট মারলেন তিনি। শুরুতে কিছুটা সামলে খেললেও যত সময় এগোল তত ভয়ঙ্কর দেখাল কনওয়েকেও।
মাত্র ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন রুতুরাজ। আগের ম্যাচে লখনউয়ের সেরা অস্ত্র মার্ক উডকে দাঁড়াতে দিলেন না তিনি। মাত্র ৮ ওভারে ১০০ রান পার হয়ে যায় চেন্নাইয়ের। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। শেষ তাস হিসাবে রবি বিষ্ণোইকে বলে আনেন তিনি। বিষ্ণোই দলকে খেলায় ফেরালেন। ৫৭ রানের মাথায় রুতুরাজকে আউট করলেন তিনি। প্রথম উইকেটে মাত্র ৯ ওভারে ১১০ রান করেন দুই ওপেনার।
কনওয়ে ৪৭ রান করে উডের বলে আউট হলেন। শিবম দুবে, মইন আলিরা শুরু ভাল করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা খুব বড় রান করতে পারলেন না। শিবম ২৭ ও মইন ১৯ রান করে আউট হন। উইকেট পড়লেও রানের গতি কমেনি। যে ব্যাটারই নামছিলেন, শুরু থেকে মারমুখী মেজাজে ছিলেন। ধোনির সঙ্গে পেয়েছিলেন চিপকের দর্শকদের। গোটা ইনিংস জুড়ে সমর্থন করে গেলেন তাঁরা।
শেষ ওভারে ব্যাট করতে নামেন ধোনি। প্রথম বলেই ছক্কা মারেন তিনি। পরের বলও উড়ে যায় দর্শকদের মধ্যে। তৃতীয় বলে আবার ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান করল চেন্নাই। ম্যাচ জিততে ২০ ওভারে ২১৮ রান করতে হবে লখনউকে। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে সেটা সহজ হবে না রাহুলদের পক্ষে।