মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
অধিনায়ক হলেই কি কেউ সম্মান অর্জন করতে পারেন? না কি তার বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে? চলতি আইপিএলে দেখা গিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হওয়ার পরে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। দলের মধ্যে স্পষ্ট দু’টি শিবির হয়ে গিয়েছে। সবার কাছে অধিনায়কের সম্মান কি তবে পাননি হার্দিক?
বিশ্বের অন্যতম সফল অধিনায়ক বলা হয় মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। এখন অবশ্য আর অধিনায়ক নন তিনি। কিন্তু কী ভাবে এক জন অধিনায়ক সম্মান অর্জন করবেন তার পথ বাতলে দিলেন ধোনি। তাঁর মতে, জোর করে নয়, সম্মান আদায় করে নিতে হয় এক জন অধিনায়ককে। হার্দিকের নাম অবশ্য করেননি ধোনি। কিন্তু তাঁর শিক্ষা হয়তো কাজে লাগবে হার্দিকেরও।
আইপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংস। অস্ত্রোপচার করাতে লন্ডন গিয়েছেন তিনি। তার মাঝেই একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। ধোনি বলেন, “সাফল্য হোক বা ব্যর্থতা, এক জন অধিনায়ককে সব সময় বাকিদের সামনে উদাহরণ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে হয়। সাফল্যের সময় দল চালানো খুব সহজ। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিতেও যখন এক জন অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়, তখন সে সম্মান আদায় করে নেয়।”
ধোনির মতে, দলে এক জন অধিনায়কের জায়গা বাকিদের থেকে আলাদা। তাই অধিনায়ককে অনেক কিছু বুঝে এগোতে হয়। তিনি বলেন, “সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের সবার কাছ থেকে সম্মান আদায় করে নেওয়া। জোর করে সম্মান আদায় করা যায় না। অধিনায়কের চেয়ার বাকিদের থেকে উঁচুতে থাকে। তাই দলের সবাই অধিনায়ককে অন্য নজরে দেখে। সেটা কিন্তু সম্মান নয়। সেখানে বসে কাউকে বলা যায় না, আমি অধিনায়কের চেয়ারে বসেছি বলে আমাকে সম্মান করো। তার জন্য নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হয়।”
২০০৭ সালে ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়ে ধোনির অধিনায়কত্বের যাত্রা শুরু। তার পরে ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ ও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন তিনি। আইপিএলেও অধিনায়ক হিসাবে পাঁচ বার ট্রফি জিতেছেন তিনি। চলতি মরসুমে চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন ধোনি। কিন্তু তার পরেও নতুন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে মাঠে সব সময় পরামর্শ দিয়েছেন। যতটা পেরেছেন সাহায্য করেছেন। এ বার তরুণ অধিনায়কদের পরামর্শ দিলেন ধোনি।