IPL

মাস কয়েক আগে খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া সাকারিয়াকে দেখে মুগ্ধ বীরেন্দ্র সহবাগ

বীরেন্দ্র সহবাগ সৌরাষ্ট্রের এই বাঁহাতি জোরে বোলারের অন্য দিক তুলে ধরলেন। সেটা পড়লে অনেকের চোখে জল চলে আসবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২১ ১৬:০৮
Share:

শুধু বোলিং নয়, লড়াকু মনোভাবের জন্যও মন কাড়লেন তরুণ চেতন। ছবি - টুইটার

রাজস্থান রয়্যালস ৪ রানে হারলেও আইপিএলের অভিষেক ম্যাচে জাত চিনিয়ে দিলেন চেতন সাকারিয়া। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। স্বভাবতই সকলে তাঁর প্রশংসা করছেন। তবে বীরেন্দ্র সহবাগ সৌরাষ্ট্রের এই বাঁহাতি জোরে বোলারের অন্য দিক তুলে ধরলেন। সেটা পড়লে অনেকের চোখে জল চলে আসবে।

Advertisement

এ বার নিলামে রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় কিনলেও সেই সুখের দিনের আগে তাঁর পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এক অজ্ঞাত কারণে ওঁর ভাই আত্মহত্যা করেন। সেই সময় সৈয়দ মুস্তাক আলি খেলতে ব্যস্ত ছিলেন সাকারিয়া। তাই বড় ছেলের ক্রিকেটে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেই জন্য এমন চরম দুঃসংবাদ তাঁর কাছ থেকে বাবা-মা দশদিন গোপন করে রেখেছিলেন। কিন্তু সন্তান হারানোর বেদনা আর চেপে রাখতে পারেননি ওঁর মা। একদিন ফোন করে ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন চেতনের মা। এরপর কয়েকটা সপ্তাহ কথাবার্তা ও খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণ।

চেতনের লড়াকু মনোভাবের বাহবা দিতে গিয়ে ছেলেটির অজানা কাহিনী টুইট করেছেন বীরু। শুধু তাই নয়, ওঁর নিখুঁত লাইন-লেংথ এবং কে এল রাহুল-ক্রিস গেলের মতো ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে লড়াকু মনোভাব দেখানোর জন্য মুগ্ধ সহবাগ।

Advertisement

বীরু বলছিলেন, “জাহির খান ও আশিস নেহরার সঙ্গে তরুণ বোলারদের নিয়ে কথা হলেই ওরা চেতনের কথা বলে। গত কয়েক মরসুম ধরে আমিও ওর কথা শুনেছি। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটে ওকে কয়েকটা ম্যাচ খেলতেও দেখেছি। তবে আইপিএলের মতো বড় প্রতিযোগিতায় নেমেই যে এত ভাল বোলিং করবে সেটা স্বপ্নেও ভাবিনি। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। এখানে সব দলে একাধিক আন্তর্জাতিক মানের ব্যাটসম্যান আছে। তবে প্রথম ম্যাচেই এমন ভয়ডরহীন মেজাজে বোলিং করতে খুব কম ছেলেকে দেখালাম।”

চেতনকে বাহবা দিতে গিয়ে বীরু আরও বলেন, “টি-টোয়েন্টিতে বোলার মার খাবেই। কিন্তু এর পরেও গেল ও রাহুলের বিরুদ্ধে বোলিং করতে হলে আলাদা দম লাগে। চেতনের মধ্যে লড়াই করার সেই মানসিকতা দেখলাম। তাই ছেলেটার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি নিশ্চিত। ও অনেক দূর যাবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement