নয়া নজির গড়লেন বিরাট টুইটার
শতরানটা নাকি করতেই চাননি দেবদত্ত পাড়িক্কল। তার জন্য ২২ গজেই বিরাট কোহলীর কাছে ধমক খেয়েছিলেন। রাজস্থান রয়্যালসকে ২১ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে হারিয়ে দেওয়ার পর কোহলী নিজেই জানিয়ে দিলেন সে কথা।
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে কোহলী বলেন, ‘‘ও (পাড়িক্কল) যখন শতরানের মুখে তখন আমাদের মধ্যে কথা হয়েছিল। ও এসে আমাকে বলল, ‘তুমি খেলাটা এবার শেষ করে দাও। আমার শতরানের জন্য ভেব না। অনেক শতরান করার সুযোগ পাব।’ তখন ওকে ধমক লাগিয়েই বললাম, ‘আগে এটা কর। প্রথম শতরান করার পর আমাকে বলবে, এরকম আরও শতরান করব’। আসলে ও যা খেলেছে, তাতে এই শতরানটা ওর প্রাপ্য ছিল। অসাধারণ ইনিংস। আমি চাই এখান থেকে ও নিজেকে তৈরি করুক। দলকে আরও সাহায্য করুক।’’
পাড়িক্কলের ইনিংস নিয়ে কোহলী বলেন, ‘‘দুর্দান্ত ইনিংস। একেবারে নিখুঁত ইনিংস। গত বছরও ও খুব ভাল খেলেছিল। সেটা ছিল ওর প্রথম বছর। সত্যিই বড় প্রতিভা। ভবিষ্যতের জন্য ওর ওপর ভরসা করাই যায়।’’
তাঁর এবং পাড়িক্কলের অবিচ্ছিন্ন ১৮১ রানের জুটি নিয়ে কোহলী বলেন, ‘‘৪০-৫০ রান হওয়ার পর আমরা ঠিক করেছিলাম রান তোলার গতি বাড়াব। টি-টোয়েন্টি মানেই জুটিতে ব্যাট করা। একজন কেউ শাসন করবে, সবসময় এটা হয় না। আজ দেখলাম ও যখন হাত খুলে মারছে, তখন আমার দায়িত্ব ছিল একদিক ধরে রেখে ওকে স্ট্রাইক দেওয়া। আজ আমার ভূমিকাটা একেবারে অন্য ছিল। শুধু উইকেটে টিকে থাকতে চেয়েছিলাম। পরের দিকে মারতে শুরু করি।’’
তবে জেতার জন্য পাড়িক্কলের ইনিংসের থেকেও মহম্মদ সিরাজ, কাইল জেমিসন, ওয়াশিংটন সুন্দরদের বোলিংকে বেশি কৃতিত্ব দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক। কোহলী বলেন, ‘‘আমাদের দলে বোলিংয়ে বড় কোনও নাম নেই। কিন্তু কার্যকরী বোলার আছে, যারা যেকোনও দিন ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে শেষের দিকের ওভারগুলোয় আমরা সত্যিই ভাল বল করছি। এই ম্যাচে ৩০-৩৫ রান কম দিয়েছি। পাড়িক্কলের ইনিংসটা অনবদ্য হলেও আমার মতে বোলিংই আমাদের জিতিয়েছে।’’
চারটি ম্যাচ খেলে চারটিতে জিতেও মাটিতে পা রাখতে চাইছেন কোহলী। বলেন, ‘‘সমর্থকদের উদ্দেশে বলব, অতিরিক্ত উৎসাহিত না হতে। আমরা পেশাদার। সবাই জানি, যেকোনও সময় ছন্দ হারাতে পারে দল। তাই ধাপে ধাপে এগোতে চাই।’’