বরুণ এবং সন্দীপ। ছবি টুইটার
বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়রের করোনা পজিটিভ আসার খবর শোরগোল ফেলে দিয়েছিল কেকেআর শিবিরে। পরে চেন্নাই এবং দিল্লি শিবিরেও করোনা হানা দেওয়ায় প্রতিযোগিতাই বাতিল করা হয়। কিন্তু কলকাতার অন্দরের ছবিটা কেমন ছিল? জানিয়েছেন দলের কর্তা বেঙ্কি মাইসোর।
এক চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বরুণ এবং সন্দীপের খবর জানার পর চমকে যাই। আমরাই এবার প্রথম দল যাদের শিবিরে করোনা ধরা পড়ল। শোনার পরেই আমি সবাইকে বলে দিই, ‘আমাদের নিভৃতবাসে যাওয়া দরকার’। আমরা ৪-৫ জন একটা ঘরে বসে বৈঠক করছিলাম। তখনই আমি বলি, ‘এই বৈঠক শেষ করে আমাদের নিজেদের ঘরে যাওয়া উচিত’। সবাইকে বলে দেওয়া হয় নিভৃতবাসে যেতে। আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিই যে ৬ দিনের কঠিন নিভৃতবাসে থাকব প্রত্যেকে। অর্থাৎ কেউ ঘর ছেড়ে বেরোবে না এবং হাউসকিপিংয়ের কেউ আসবে না।”
বেঙ্কির নির্দেশ পেয়েই দলের ম্যানেজার কাজে লেগে পড়েন। ঘরের সামনে খাবার রেখে চলে যেতে বলা হয়। হোটেল কর্মীরা চলে গেলে তবেই সেই দরজা খুলে খাবার নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছিল। প্রতি রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রত্যেকের তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং সোয়াব পরীক্ষা করা হত। সকালে ওঠার আগেই এসে যেত পরীক্ষার ফলাফল।
বেঙ্কি আরও জানান, “সোমবার একটি জুম কলের আয়োজন করি আমরা। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেটা ঠিক করার জন্য। শাহরুখ খানও ওই কলে যোগ দিয়েছিল। প্রত্যেককে আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছিল, নিরাপত্তাই প্রথম এবং একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট এখন গৌণ।”