বরুণ, সন্দীপ এবং অমিত।
বরুণ চক্রবর্তী থেকে সন্দীপ ওয়ারিয়র। সেখান থেকে অমিত মিশ্র। কলকাতা থেকে দিল্লি শিবিরে এ ভাবেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা সংক্রমণ, যার জেরে বাতিল করে দিতে হয়েছে এবারের আইপিএল। কিন্তু কী ভাবে এই ভাইরাস এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। তদন্তে উঠে এসেছে বিভিন্ন কারণ।
শুরু থেকে কড়া এবং শক্তিশালী জৈব সুরক্ষা বলয়ের কথা বলে আসছিল বিসিসিআই। কিন্তু ক্রিকেটার এবং আয়োজকদের গণ্ডগোলের কারণেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। কোনও দলই এবার জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেমকে পাত্তা দেয়নি। তাই ব্যক্তিগত যোগাযোগের সূত্র ধরে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে সংক্রমণের কারণ।
গত সপ্তাহে বরুণকে হাসপাতালে স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে শোনা গিয়েছে, তলপেটে ব্যথার কারণেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর হোটেলে ফিরে সন্দীপের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। এটি ১ মে-র ঘটনা। পরে দু’জনেই দলের সঙ্গে অনুশীলনে যান। তখনই বরুণ জানান, তাঁর শরীর ভাল নেই। ম্যাসিওরের ঘরে তাঁকে নিভৃতবাসে পাঠানো হলেও সন্দীপ দলের সঙ্গেই অনুশীলন করেন।
জানা গিয়েছে, একই সময় দিল্লিও অনুশীলন করছিল। সেখানে সন্দীপের সঙ্গে অমিতের কিছুক্ষণ কথা হয়। হোটেলে ফিরে অমিত জানান, তাঁর শরীর ভাল লাগছে না। তখন তাঁকেও নিভৃতবাসে পাঠিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। এভাবেই এক শিবির থেকে আর এক শিবিরে ছড়িয়ে পড়েছিল সংক্রমণ।