বরুণ এবং সন্দীপ।
সকাল থেকেই খবরটা হঠাৎই ছড়িয়ে পড়েছিল। বেলার দিকে তার সত্যতা স্বীকার করা হল সরকারি ভাবে। সোমবার সন্ধেয় বিরাট কোহলীর বিরুদ্ধে 'টস করতে নামার কথা ছিল অইন মর্গ্যানের। কিন্তু কেকেআর শিবিরে করোনা-হানা দেওয়ায় আপাতত সেই ম্যাচ বাতিল। কবে হবে তা এখনও জানানো হয়নি। কিন্তু মরসুমের মাঝপথে এ ভাবে দুই ক্রিকেটারের আক্রান্ত হওয়া বিরাট ধাক্কা শিবিরের কাছে।
স্ক্যান করাতে হাসপাতালে যাওয়া-আসার মাঝেই করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। অপর ক্রিকেটার সন্দীপ ওয়ারিয়রের সংক্রমিত হওয়ার কারণ জানানো হয়নি। কিন্তু দুই ক্রিকেটারের এ ভাবে আক্রান্ত হওয়া চিন্তায় ফেলেছে শিবিরকে। বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে গোটা দলের সঙ্গেই অনুশীলন করেছেন বরুণ এবং সন্দীপ। সেই অনুযায়ী গোটা দলেরই পরবর্তী রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিভৃতবাসে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু সে কাজ করা হয়নি। বরং নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে শুধু সংশ্লিষ্ট দুই ক্রিকেটারকেই। অন্যদের মধ্যেও ইতিমধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে কিনা সেটাও স্পষ্ট নয়।
গত মরসুমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল চলার সময় কেকেআর-এর কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। এ বছর প্রতিযোগিতা শুরুর আগে নীতীশ রানার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা গেলেও পরে শোনা যায়, সেটি ভুয়ো রিপোর্ট ছিল। কিন্তু মরসুমের মাঝপথে দুই ক্রিকেটারের করোনা আক্রান্ত হওয়া বড় ধাক্কা শিবিরের কাছে।
সন্দীপ প্রথম একাদশে খুব বেশি সুযোগ পান না। কিন্তু বরুণ ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। ‘রহস্য স্পিনার’ হিসেবে খ্যাত বরুণকে খেলানো হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁর উইকেট তোলার দক্ষতার জন্য। ফলে দলের অন্যতম সেরা অস্ত্রকেই আগামী কয়েকটি ম্যাচে হয়তো পাবেন না অইন মর্গ্যান। এমনিতেই সাত ম্যাচে পাঁচটি হেরে লিগ তালিকার নিচে ঘুরপাক খাচ্ছে দল। তার মধ্যে বরুণের ছিটকে যাওয়া যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া।
নিয়ম অনুযায়ী, দুই ক্রিকেটারকেই অন্তত সাতদিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ দিনে তাঁদের করোনা পরীক্ষা হবে। তিনটি রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাঁরা দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। অন্যথায় নিভৃতবাসের মেয়াদ বেড়ে যাবে।