রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ছ’টি টুইট। ফাইল চিত্র
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ছ’টি টুইট। অইন মর্গ্যানের সঙ্গে তাঁর গন্ডগোল নিয়ে সে দিন কী ঘটেছিল, তা পরিষ্কার করলেন। সেই সঙ্গে এক হাত নিলেন মর্গ্যান এবং টিম সাউদিকেও। কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচের সেই বাদানুবাদ যেন থামছেই না।
প্রথম টুইটে অশ্বিন লেখেন, ‘আমি দেখলাম ফিল্ডার বল ছুড়ছে। ঋষভ পন্থের গায়ে বল লেগেছে আমি দেখিনি। তা হলে কি আমি দৌড়ব? অবশ্যই দৌড়ব এবং সেটা নিয়মের মধ্যে। মর্গ্যান যেমন বলছে, আমি কি ততটাই খারাপ ব্যবহার করেছি? একদমই না।’
দ্বিতীয় টুইটে অশ্বিন লেখেন, ‘আমি কি লড়াই করেছি? না, আমি নিজের পক্ষে ছিলাম, সেটাই আমাকে শিক্ষকরা শিখিয়েছেন। আমার অভিভাবকরা শিখিয়েছেন নিজের জন্য লড়াই করতে। মর্গ্যান এবং সাউদি যা ভাবছে ভাবতে পারে।’
তৃতীয় টুইট করেন অশ্বিন। তিনি লেখেন, ‘আমি নীতিগত ভাবে সঠিক থাকতে চেয়েছিলাম, যাতে কোনও অপমানজনক মন্তব্য না ব্যবহার করি। কিন্তু সব চেয়ে অবাক করা বিষয় এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মানুষ জানতে চাইছে কে ভাল, কে খারাপ। সবাইকে বলছি ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা।’
চতুর্থ টুইটে অশ্বিন লেখেন, ‘একাধিক ক্রিকেটার রয়েছেন, তাঁদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। তাঁরা নিজেদের মতো কেরিয়ার তৈরি করতে চাইছেন। তাঁদের শেখানো উচিত যে, তোমাকে আউট করার জন্য একটা বাজে থ্রোতে অতিরিক্ত রান তোমার কেরিয়ার তৈরি করতে পারে, আবার একজন নন স্ট্রাইকার এক গজ এগিয়ে থাকলে কেরিয়ার শেষও হয়ে যেতে পারে।’
পঞ্চম টুইটে অশ্বিন লেখেন, ‘রান না নিলে বা নন স্ট্রাইকারকে সতর্ক না করলে, আপনি ভাল মানুষ এমন বলে ওঁদের বিভ্রান্ত করা উচিত নয়। কারণ যাঁরা আপনাকে ভাল বা খারাপ বলছে, তাঁরা নিজেরা কিন্তু জীবনে যেটা করার সেটা করে কেরিয়ার তৈরি করে নিয়েছে।’
ষষ্ঠ টুইটে অশ্বিনের বক্তব্য, ‘মাঠে নিজের জীবন দিয়ে খেলো। নিয়ম মেনে খেলো। খেলা শেষ হলে হাত মিলিয়ে নাও। সবার উপরে ক্রিকেট। এটাই আমি বুঝি।’