ব্যাটসম্যান ধোনিকে দেখার অপেক্ষায় এ বারের আইপিএল। ফাইল চিত্র
বাইশ গজের যুদ্ধে দ্রুত রান নেওয়ার ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি অতুলনীয়। কিন্তু চ্যাম্পিয়নদের সব দিন তো সমান যায় না। কখনও ক্ষণিকের ভুলে ধোনির মতো ব্যাটসম্যানের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়, আবার কখনও চকিত বুদ্ধিতে জীবন ফিরে পান তিনি। সোমবার রাতে তেমনটাই ঘটল। টেলিভিশনের মাধ্যমে সেটা দেখল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। একই সঙ্গে রান আউট হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়ার এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল গত বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালের কথাও।
আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খালি হাতে ফিরে যান। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সুযোগ আসেনি। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরার পর রান পেতে মরিয়া ছিলেন সিএসকে অধিনায়ক। ক্রিজে আসার পর থেকে তাঁর শরীরী ভাষায় সেটা ফুটে উঠছিল। ১৫তম ওভারে রাহুল তেওয়াটিয়ার একটি বল কভারের দিকে ঠেলে রান নিতে চেয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু অধিনায়কের আবেদনকে নাকচ করে দেন রবীন্দ্র জাডেজা। জাড্ডুর বার্তা কানে আসার আগেই ক্রিজ ছেড়ে প্রায় মাঝপথ পর্যন্ত চলে আসেন ধোনি। তবে ক্ষতি হয়নি। কারণ শরীরকে পুরোপুরি শূন্যে ছুড়ে দিয়ে নিজের রান আউট হওয়া আটকান।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে রান আউট থেকে বাঁচার এই ছবি এখন ভাইরাল। ছবি - টুইটার।
তবে এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে কিন্তু তাঁকে আউট হয়েই ফিরতে হয়েছিল। শরীরকে পুরোপুরি শূন্যে ছুড়ে না দেওয়ার জন্য মাত্র ২ ইঞ্চির ব্যবধানে রান আউট হয়েছিলেন। ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে ১৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল বিরাট কোহলীর ভারত। ২০১৯ সালের ৯ জুলাই তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৭১ বলে ৪৯ রান করে ফিরতে হয়েছিল ‘ক্যাপ্টেন কুল’কে।
স্বভাবতই সেই রান আউট হওয়ার আফসোস এখনও তাঁর যায়নি। বেশ কয়েক জায়গায় সেই আউট হওয়ার প্রসঙ্গে ধোনি বলেছিলেন, “জীবনের প্রথম একদিনের ম্যাচে রান আউট হয়েছিলাম। শেষ ম্যাচেও আমার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছিল। সে দিন পুরো শরীর ছুড়ে দিলে বেঁচে যেতাম। মাত্র ২ ইঞ্চির জন্য রান আউট হওয়া এখনও মানতে পারি না।”