বোলারদের দাপটে বড় জয় কলকাতার।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ছিল প্লে-অফে ওঠার মরিয়া লড়াই। এক অর্থে নক-আউট ম্যাচ ছিল বৃহস্পতিবার। সেই ম্যাচেই রাজস্থানকে ৮৬ রানে উড়িয়ে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল অইন মর্গ্যানের দল। বোলারদের দাপটে এল দুরন্ত জয়। এই মুহূর্তে ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট কলকাতার। শুক্রবারের ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জিতলে কলকাতার সঙ্গে পয়েন্ট সমান হবে ঠিকই, কিন্তু নেট রান রেটে অনেক পিছিয়ে থাকায় কাজ প্রচণ্ড কঠিন হবে রোহিত শর্মার দলের। কলকাতার নেট রানরেট যেখানে +০.৫৮৭, সেখানে মুম্বইয়ের -০.০৪৮।
চলতি মরসুমে পরিসংখ্যান বলছিল, শারজার পিচে বড় রান ওঠানো সম্ভব নয়। টসে হেরে রাজস্থান ফিল্ডিং নেওয়ার পর কত রান ওঠাতে পারে কলকাতা, সেটা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিলই। শুরুটাও ভাল হয়নি কেকেআর-এর। প্রথম ছ’ওভারে ওঠে মাত্র ৩৫ রান। রান রেট ছয়ের নীচে ছিল। কিন্তু যত সময় এগোতে থাকল, ততই যেন ছন্দে ফিরলেন কেকেআর-এর দুই ওপেনার শুভমন গিল এবং বেঙ্কটেশ আয়ার। এই মরসুমে তাঁরা দলকে যথেষ্ট ভরসা দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হল না।
ধীরে শুরু করেছিলেন দু’জনেই। কিন্তু ক্রমশ হাত খুলতে থাকায় রানের গতিও বাড়তে লাগল। প্রথম উইকেটেই উঠে গেল ৭৯ রান। তখনই ম্যাচে প্রাধান্য নিয়ে নিয়েছিল কলকাতা। যত সময় এগোল তা বাড়তে লাগল। শুভমন একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। বেঙ্কটেশ আউট হওয়ার পরে যাঁরাই এলেন তাঁরাই নিজেদের মতো করে অবদান রেখে গেলেন। নীতীশ রানা (৫ বলে ১২), রাহুল ত্রিপাঠি (১৪ বলে ২১) ভাল খেললেন। উল্টোদিকে ততক্ষণে শুভমনও অর্ধশতরান করে ফেলেছেন। শেষ দিকে ভাল খেলে কেকেআর-এর রান ১৭১-এ পৌঁছে দিলেন দীনেশ কার্তিক (অপরাজিত ১৪) এবং মর্গ্যান (অপরাজিত ১৩)। এই মরসুমে শারজায় সর্বোচ্চ রান উঠল কেকেআর-এর দৌলতে।
রাজস্থানের কাছে কাজটা এমনিই কঠিন ছিল। কিন্তু কেকেআর বোলাররা তাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিলেন। প্রথম ওভারেই ছন্দে থাকা রাজস্থানের ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়ালকে ফেরালেন শাকিব আল-হাসান। পরের ওভারে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে ফেরালেন শিবম মাভি। এরপর রাজস্থান ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসা চলতে থাকল। শিবম দুবে (১৮) এবং রাহুল তেওয়াটিয়া (৪৪) বাদে কোনও ব্যাটসম্যানই দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
কলকাতার হয়ে চারটি উইকেট নেন তরুণ জোরে বোলার শিবম মাভি। তিন উইকেট নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসনের।