আউট হয়ে অবাক ম্যাক্সওয়েল। উল্লাস করছেন হরপ্রীত ব্রার। ছবি - টুইটার
খাতায় কলমে এগিয়ে থাকলেও বাইশ গজের লড়াইয়ে পঞ্জাব কিংসের কাছে ৩৪ রানে হেরে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। লেখা ভাল ২৬ বছরের অনামি হরপ্রীত ব্রার একাই বিরাট কোহলীর আরসিবি-কে হারিয়ে দিলেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারত অধিনায়কের দলকে হেলায় হারিয়ে দিলেন তিনি। অবশ্য নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের পিচে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন রাজস্থানের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা রবি বিষ্ণোই। এই লেগ স্পিনার নিলেন ১৭ রানে ২ উইকেট। ফলে ৮ উইকেট ১৪৫ রানে থেমে গেল আরসিবি।
প্রথমে ব্যাট হাতে বিস্ফোরণ। পরে স্পিনের ছোবলে বিরাট কোহলী, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, এবি ডিভিলিয়ার্সকে সাজঘরে পাঠানো। চলতি আইপিএল-এ প্রথম বার মাঠে নেমেই চমকে দিলেন অখ্যাত হরপ্রীত ব্রার। ১১তম ওভারের পরপর দুই বলে ফেরালেন কোহলী ও ম্যাক্সওয়েলকে। এরপর ১৩তম ওভারের প্রথম বলেই কভারে দাঁড়িয়ে ডিভিলিয়ার্সের ক্যাচ ধরলেন রাহুল। বোলার সেই বাঁহাতি স্পিনার হরপ্রীত। মাত্র ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন তারকা খচিত আরসিবি-র দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। দেবদত্ত পাড়িক্কল শুরুতে ফিরলেও বিরাট কিন্তু নিজের মেজাজে ব্যাট করছিলেন। তবে পঞ্জাবের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা এই অলরাউন্ডারের হাত বল আসতেই মুহূর্তে বদলে গেল খেলার রং। সেই ধাক্কা খাওয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিরাটবাহিনী।
টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন কোহলী। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে একেবারে সঠিক পরিণত করে আরসিবি-র বোলিং। চোটের জন্য এ দিন মাঠে নামেননি ময়াঙ্ক আগরওয়াল। আর এটাই বড় তফাত গড়ে দিল। কাইল জেমিসন, শাহবাজ আহমেদের দাপটে মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরে। যদিও কে এল রাহুল ও ক্রিস গেল দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৮০ রান। কিন্তু ২৬ বলে ৪০ রান করে ‘ইউনিভার্স বস’ সাজঘরে ফিরতেই একা হয়ে যান পঞ্জাব অধিনায়ক। তবে তিনি দমে যাননি। ৫৭ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল। মারেন ৭টা চার ও ৫টা ছয়। তবে শুধু রাহুল নয়, শেষের দিকে ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন হরপ্রীত ব্রার। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে পঞ্জাব।