আরসিবি-র বিরুদ্ধে মারমুখী মেজাজে কে এল রাহুল। ছবি - টুইটার
শেষ দিকে ব্যাট হাতে ১৭ বলে অপরাজিত ২৫। এরপর বল হাতে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে একাই গুঁড়িয়ে দিলেন হরপ্রীত ব্রার। পঞ্জাব তনয়ের এমন ভাল খেলার জন্য পঞ্জাব কিংস জিতল ৩৪ রানে। স্বভাবতই হরপ্রীতের প্রশংসা করেন কে এল রাহুল।
ম্যাচের শেষে পঞ্জাব অধিনায়ক বলেন, “এমন পিচে খেলার আগে হরপ্রীতকে প্রস্তুত থাকতে বলেছিলাম। এই পিচে ফিঙ্গার স্পিনার খুব কাজে লাগে। সেটা আগে থেকে জানতাম। কারণ পিচের শক্ত ভাবকে কাজে লাগিয়ে ওর মতো স্পিনার বাউন্স আদায় করতে পারে। খেলার সময় হরপ্রীত সেটাই করেছে। এটা দেখে বেশ ভাল লাগল। দলের অধিনায়ক হিসেবে আমিও নতুন। এমনকি ভারতীয় দলেও আমার অভিজ্ঞতা সামান্য। তবুও নিজের সামান্য অভিজ্ঞতা বাকিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। ছেলেরা কথাগুলো ভাল ভাবে রপ্ত করে মাঠে নিজেদের মেলে ধরেছে। অধিনায়ক হিসেবে এটাই বড় প্রাপ্তি। তবে শুধু আরসিবি-কে হারিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে এ ভাবেই আমাদের সবাইকে খেলতে হবে।”
বিরাটের দলের বিরুদ্ধে মাত্র ৫৭ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থেকে আইপিএল-এ সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের মধ্যে শীর্ষে চলে গেলেন রাহুল। ৭ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ৩৩১ রান করেছেন। ৬৬.২০ গড় নিয়ে ইতিমধ্যেই ৪টি অর্ধ শতরান করে ফেলেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৩৬.২১। তাঁর এমন মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য দিল্লি ক্যাপিটালসের শিখর ধওয়ন দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছেন। নিজের ব্যাটিং নিয়ে রাহুল বললেন, “অধিনায়ক হিসেবে আমার কাজ সতীর্থদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। প্রতি ম্যাচে আমি সেটাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিজের সাধ্যমতো শুরু থেকেই বোলারদের উপর চাপ তৈরি করছি। আর এতেই সাফল্য পেলাম।”