দল গঠনে নানা সমস্যায় জর্জরিত কলকাতা নাইট রাইডার্স। যার জন্য আইপিএলে সেরা একাদশ বেছে নিতে সমস্যা হয়েছে বার বার। সমস্যা মেটাতে কোন প্লেয়ারদের নিলামে টার্গেট করবে কেকেআর? কাদের নিলে জয়ের পথে ফিরতে পারে নাইটরা? দেখে নেওয়া যাক।
ঋদ্ধিমান সাহা: বাংলার এই উইকেটকিপার যে কতটা কার্যকরী তা ভালই দেখা গিয়েছে এ বারের আইপিএল-এ। উইকেটের পিছনে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে না। ব্যাট হাতেও যে সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি কার্যকরী তা-ও প্রমাণ করেছেন।
কেকেআর-এর প্রধান সমস্যা ওপেনিং কম্বিনেশন। সেখানে তরুণ শুভমন গিলের সঙ্গে জুটি বাঁধতেই পারেন ঋদ্ধি। যদিও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাঁকে ছাড়বে কি না সেটাও প্রশ্ন।
পার্থিব পটেল: এ বারের আইপিএল-এ সুযোগই পাননি এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যদি নিলামের আগে তাঁকে ছেড়ে দেয় তা হলে কলকাতা পার্থিবকে দলে নেওয়ার জন্য ঝাঁপাতেই পারে।
দীনেশ কার্তিককে ছেড়ে দিলে উইকেটকিপার নিতে হবে দলকে। ঋদ্ধিকে না পাওয়া গেলে পার্থিবের দিকে ঝুঁকতেই পারে কলকাতা। ওপেনিং ব্যাটসম্যান এবং উইকেটকিপার দুটো সমস্যাই মিটিয়ে দিতে পারেন তিনি।
ক্রিস লিন: কলকাতা দলে তিনি আগেও ছিলেন। মারকুটে এই ওপেনারকে নাইট রাইডার্স ছেড়ে দিলে তিনি চলে যান মুম্বইয়ে। যদিও একটা ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি লিন।
মুম্বই দলে তাঁকে না রাখার সম্ভবনাই বেশি। নিলামে সুযোগ পেলে তাঁকে নিতেই পারে কলকাতা। শুভমনের সঙ্গে ওপেনে ঝড় তুলতেই পারেন তিনি।
সুরেশ রায়না: চেন্নাই সুপার কিংস দল তাদের ওয়েবসাইট থেকেই ছেঁটে ফেলে ছিল তাঁর নাম। পরের বারের আইপিএল-এ তাঁকে রাখবে কি না তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। রায়নাকে দলে পেলে শক্তিশালী হবে মিডল অর্ডার।
আইপিএল-এ তাঁর মতো সফল খেলোয়াড় খুব কমই আছেন। কলকাতার দলে তাঁর মতো এক জন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে দলে পেলে ব্যাটিংয়ে ভারসাম্য বাড়বে অনেক বেশি। কার্তিকের বদলে মিডল অর্ডারে রায়নাই হয়ে উঠতে পারে দলের প্রধান ভরসা।
রাহুল তেওটিয়া: রাজস্থান রয়্যালসের এই অলরাউন্ডার নজর কেড়েছেন এ বারের আইপিএল-এ। ১৪ ম্যাচে ২৫৫ রান এবং ১০ উইকেট নিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দলের ভরসা।
তাঁকে যদি নিলামে পাওয়া যায় তবে কেকেআর দারুণ উপকৃত হবে। তিনি যেমন ডেথ ওভারে দ্রুত রান তুলতে পারেন, তেমনই দরকারে উইকেট তুলে নিতে পারেন। এ বারের টুর্নামেন্টে ১৭টি ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে, গড় ৪২.৫। এমন একজনকেই মিডল অর্ডারে প্রয়োজন কেকেআরের।
রবি বিষ্ণোই: স্পিনারদের প্রতি কলকাতার টান বরাবরের। পঞ্জাবের হয়ে এ বারের আইপিএল-এ নজর কেড়েছিলেন রবি। ১৪ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২টি উইকেট।
কুলদীপ যাদবের প্রতি আস্থা হারিয়েছে দল। বরুণ চক্রবর্তীর ওপরই ভরসা করে গিয়েছে তারা এ বারে। নিলামে কুলদীপকে ছেড়ে রবির মতো একজন লেগ স্পিনারকে দলে নিলে বাড়বে বৈচিত্র্য।
আনরিখ নোখিয়াই: দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার এ বার দুরন্ত ফর্মে ছিলেন দিল্লির হয়ে। ১৬ ম্যাচে নিয়েছেন ২২ উইকেট। তাঁর মতো কার্যকরী পেসারকে নিতেই চাইবে কেকেআর।
নিলামে তাঁকে যদি ছেড়ে দেয় দিল্লি তবে পেস অ্যাটাকে বৈচিত্র্য আনতে আনরিখকে নিতে পারে কেকেআর। প্যাট কামিন্স সে ভাবে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার সেই সমস্যা মেটাতেই পারেন।