শনিবারই ডেভিড ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, যিনি দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক ছিলেন। ফাইল ছবি
শনিবারই ডেভিড ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, যিনি দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক ছিলেন। বদলে কেন উইলিয়ামসনকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যর্থতার জন্য মরসুমের মাঝপথে নেতৃত্বের ব্যাটন বদল নতুন জিনিস নয়। এর আগেও এমন হয়েছে। এমন কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:
ডেভিড ওয়ার্নার: ২০১৫ থেকে হায়দরাবাদের পূর্ণ সময়ের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তারপরের বছরই দলকে ট্রফি জেতান। তিন বার কমলা টুপি পেয়েছেন। নেতৃত্বের চাপ ব্যাটে দেখা যায়নি। কিন্তু এ বারই সব গোলমাল হয়েছে। ব্যাটে যেমন রানের খরা, তেমনই দলও হারছে।
দীনেশ কার্তিক: গত মরসুমের মাঝপথেই কলকাতার অধিনায়ক পদে বদল করা হয়। কার্তিকের বদলে দায়িত্ব দেওয়া হয় অইন মর্গ্যানকে। কিন্তু তিনিও কিছু বদলাতে পারেননি। কার্তিক প্রথম ৭ ম্যাচে ৪টি জিতলেও, মর্গ্যান ৭টি ম্যাচে ৩ বার দলকে জেতান। এ মরসুমে মর্গ্যানের কেকেআর-এর অবস্থা আরও খারাপ। ৭ ম্যাচে মাত্র ২টি জিতেছে তারা।
অজিঙ্ক রহাণে: ২০১৯-এ রহাণেকে অধিনায়ক করে রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু প্রথম ৮টি ম্যাচে মাত্র ২ বার জয় পায় রাজস্থান। তখনই রহাণেকে সরিয়ে স্টিভ স্মিথকে অধিনায়ক করা হয়। তবে বিশ্বকাপের জন্য প্রতিযোগিতা শেষের আগেই দেশে ফেরেন স্মিথ। তখন ফের নেতা হন রাহানে।
ডেভিড মিলার: ২০১৮-এ তৎকালীন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় মিলারকে। কিন্তু বেশিদিন তিনি থাকতে পারেননি ওই পদে। টানা ব্যর্থতার জেরে তাঁকে সরিয়ে মুরলী বিজয়কে অধিনায়ক করা হয়।
শিখর ধওয়ন: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ধওয়ন। ততদিনে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। তবে নেতৃত্বের সাফল্য তাঁর উপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিছুদিন পরেই তাঁকে সরিয়ে ড্যারেন স্যামিকে অধিনায়ক করা হয়।