দুবাইয়ের গ্যালারিতে দেখা গেল দু’জন বাচ্চা হাপুস নয়নে কেঁদে চলেছে।
সিএসকে নিছক একটি ক্রিকেট দলের নাম নয়। এমএসডি স্রেফ একজন ক্রিকেটারের নাম নয়। ইংরাজি বর্ণমালার পাঁচটি অক্ষর এই ক্রমপর্যায়ে এলে যে অন্য মাত্রার আবেগ তৈরি হয়, তা আরও একবার বোঝা গেল রবিবার।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি চার মেরে চেন্নাই সুপার কিংসকে যখন আরও একটি আইপিএল ফাইনালে তুললেন, তখন দুবাইয়ের গ্যালারিতে দেখা গেল দু’জন বাচ্চা হাপুস নয়নে কেঁদে চলেছে। এক মহিলা, সম্ভবত তাদের মা, কিছুতেই সামলাতে পারছেন না, থামাতে পারছেন না দু’জনকে।
প্রথমে মনে হয়েছিল, ওই পরিবার হয়ত দিল্লি ক্যাপিটালসের সমর্থক। জেতার মুখে এসেও ঋষভ পন্থরা হেরে যাওয়ায় মনের দুঃখে তারা কাঁদছে। কিন্তু না। তারা হারের মুখ থেকে জেতার আনন্দে নিজেদের সামলাতে পারেনি। তাদের প্রিয় ‘থালা’ আবার ফিনিশারের ভূমিকায়, এই আনন্দের আবেগ তারা সামলাতে পারেনি।
‘থালা’-ও তাদের নিরাশ করেননি। তিনি নিজে ঘটনাটি দেখেননি। কিন্তু তাঁর কানে খবর পৌঁছনো মাত্র নীচ থেকে উপরের গ্যালারিতে ম্যাচের বলটি ছুড়ে দেন। সিএসকে আর এমএসডি নামের আবেগের বৃত্ত তখন সম্পূর্ণ।
ম্যাচের পর সুনীল গাওস্কর সিএসকে-র এই আবেগের কথাই তুলে ধরে বললেন, ‘‘চেন্নইয়ের সমর্থকরা বরাবরই এরকম। সিএসকে ওদের কাছে শুধুই একটা দল নয়, একটা পরিবার, আবেগ। শুধু সিএসকে-র কথাই বা বলি কী করে? চেন্নাইতেই পাকিস্তান যখন টেস্টে ভারতকে হারিয়েছিল, গোটা মাঠ উঠে দাঁড়িয়ে ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিসদের অভিনন্দন জানিয়েছিল।’’