বলয়ে ভাইরাস ঢুকতেই টিম হোটেলের কেমন অবস্থা হয়েছিল,জানালেন ক্রিস মরিস। ফাইল চিত্র
দশ জন সতীর্থ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পা রাখলেও ক্রিস মরিসের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। দেশে পা রাখার পর কাগিসো রাবাডা, কুইন্টন ডি’ককদের আপাতত দশ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে। যদিও মরিস এখনও সেই কঠিন সময়ের কথা ভুলতে পারছেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সংবাদ মাধ্যমকে রাজস্থান রয়্যালসের এই অলরাউন্ডার বলেন, “কলকাতার দুজন ক্রিকেটার কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরেই আমরা জানতাম আইপিএল-এর উপর এর প্রভাব পড়বে। কিন্তু এরপর ঋদ্ধিমান সাহা ও অমিত মিশ্র এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আইপিএল বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পেতেই আমরা সবাই চাপে পড়ে যাই। দেশে ফেরা নিয়ে একটা চিন্তা ছিলই। এমন অবস্থায় হোটেলে থাকা নিয়েও চিন্তায় ছিলাম। তাই শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে যেন জীবন ফিরে পেলাম।”
এর পরেই তিনি যোগ করেন, “দলের ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি কুমার সঙ্গাকারার সঙ্গে কথা বলছিলাম। সেই সময় যেন নিজেদের অসহায় মনে হচ্ছিল। ইংল্যান্ডের কয়েক জন ক্রিকেটার তো রীতিমতো ঘাবড়ে যায়। ওরা তো চেঁচামেচি করতে শুরু করে দেয়।”
তবে দেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইপিএল আয়োজিত হলেও বিসিসিআই কর্তাদের দোষ দিতে রাজি নন মরিস। বলেন, “কাউকে দোষ দেওয়া খুবই সহজ ব্যাপার। কিন্তু আইপিএল শুরু হওয়ার সময় ভারতের করোনা পরিস্থিতি এতটা জটিল ছিল না। যদিও সব কিছুরই দুটো দিক থাকে। কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে আমরা ঠিকঠাক থেকে ক্রিকেট খেললেও বাইরের অবস্থা কিন্তু ভাল ছিল না। তবে এটাও ঠিক যে আইপিএল-এর উপর অনেকের জীবন জীবিকা নির্ভর করত। তিন-চার ঘণ্টার জন্য কিছু মানুষকে বিনোদন দেওয়া যেত। তাই ভারতে আইপিএল আয়োজন করার জন্য বিসিসিআইকে দোষ দেওয়া উচিত নয়।”