ছবি পিটিআই।
গ্রুপ লিগের একটা আইপিএল ম্যাচের উপরে এত কিছু নির্ভর করে আছে, এ রকম ঘটনা কত বার ঘটে? আজ, সোমবার আবু ধাবিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালসের। এই ম্যাচে যে জিতবে, প্লে-অফের প্রথম দুইয়ে থেকে ফাইনালে যাওয়ার জন্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলবে। অন্য দলটা প্লে-অফে যেতেও পারে, আবার বিদায়ও নিতে পারে।
এ বারের প্লে-অফে ওঠার অঙ্ক ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে। এই লেখা যখন লিখছি, তখন কিংস ইলেভেন পঞ্জাব বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ হয়নি। তার আগে পর্যন্ত শেষ তিনটে জায়গার জন্য ছ’টা দল লড়াই করে চলেছে। আমাদের নজর একটা ব্যাপারেই। দিল্লিকে হারিয়ে প্লে-অফের ছাড়পত্র পাওয়া।
আরসিবি এবং দিল্লি— দুটো দলই কিছু দিন আগে পর্যন্ত মসৃণ ভাবে প্লে-অফের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু দিল্লি শেষ চারটে ম্যাচে হেরে গেল, আমরা শেষ তিনটেয়। চোখের পলক ফেলার আগেই নীচের দিকে থাকা দলগুলো প্রথম দিকের দলগুলোকে ধরে ফেলল।
আমাদের সামনে রাস্তাটা খুব পরিষ্কার। দিল্লিকে হারিয়ে প্লে-অফে ওঠা। প্লে-অফে মুম্বইকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছনো। এবং, ফাইনাল জিতে প্রথম বারের জন্য আইপিএল ট্রফি ঘরে তোলা। তিনটে বিশাল ম্যাচ আসছে আমাদের জন্য। আর তার জন্য আমাদের রণনীতিও তৈরি আছে।
এক নম্বর, এই রকম মারাত্মক চাপের ম্যাচে প্রথম ধাক্কাটা দিতে পারলে সব সময় এগিয়ে থাকা যায়। সেটা পাওয়ার প্লে-তে কয়েকটা উইকেট তুলে নেওয়া বা ব্যাট হাতে প্রথম ছ’ওভারে ঝড় তোলা, যা-ই হোক না কেন।
দু’নম্বর, আমরা ক্রিকেটের প্রাথমিক ব্যাপারগুলো ঠিক রেখে এগোতে চেষ্টা করব। খুব দেখনদারি কিছু করার দিকে ঝুঁকব না। ভাল, অলরাউন্ড ক্রিকেট খেলার উপরে জোর দেব।
তিন নম্বর, আমরা একটা দল হিসেবে খেলব। একে অপরের জন্য ঝাঁপাব, একে অন্যের পাশে থাকব।
অবশ্যই আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান করি। কিন্তু এটাও বলব, এই প্রতিযোগিতায় আমরা যথেষ্ট ভাল খেলেছি। আমাদের দলের ভারসাম্যও ভাল। প্রয়োজনের সময় আমরা একটু ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে শেষ হাসি না হাসার কোনও কারণ নেই।যেখানে বসেই আপনি খেলা দেখুন না কেন, নাটকটা উপভোগ করুন। (টিসিএম)