ধোনির প্রতিক্রিয়ায় আম্পায়ার রাইফেল ওয়াইডের সিদ্ধান্ত বদলানোয় অবাক হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারালেও বিতর্ক সঙ্গী সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তাঁর চোখরাঙানিতে ভয় পেয়েই ওয়াইড দিতে গিয়েও দেননি আম্পায়ার পল রাইফেল, এমনই চর্চা শুরু হয়েছে ক্রিকেটমহলে। যা নিয়ে নেটাগরিকদের তোপের মুখে পড়েছেন স্বয়ং এসএসডি।
১৬৮ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৯তম ওভারে এই ঘটনা ঘটে। পেসার শার্দূল ঠাকুরের একটি বল ব্যাটসম্যানের থেকে দূরে থাকায় ওয়াইড হয়েছিল। পরের বলও একই ভাবে ছিল দূরে। আম্পায়ার পল রাইফেল যা দেখে দু’হাত ছড়িয়ে ওয়াইডের সঙ্কেত করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ক্রুদ্ধ ধোনির হাব-ভাব দেখে তিনি ওয়াইডের সঙ্কেত করা থেকে বিরত থাকেন। রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে বল ওয়াইড ছিল। কিন্তু, ধোনির প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আম্পায়ার ওয়াইড দেননি।
এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয় ধোনির। এক নেটাগরিক লেখেন, ‘যদি ধোনিই সব কিছু ঠিক করবেন, তা হলে আর আম্পায়ারদের রাখা হচ্ছে কেন? আম্পায়ারকে ক্রিকেটার বলে দিচ্ছে যে কী করতে হবে! এমন দেখতে আমরা অভ্যস্ত নই’। এক জন লেখেন, ‘ধোনি আম্পায়ারকে কিনে নিয়েছেন। আর এমন ঘটনা এই প্রথম হল না’। অন্য এক জন লিখেছেন, ‘ধোনির প্রতিক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত পাল্টালেন আম্পায়ার’।
আরও পড়ুন: দলে এক স্পিনার, আইপিএলে বিদেশিদের নিয়ে তৈরি সেরা একাদশে নেই নারিন-রাসেল
আরও পড়ুন: ঋষভের এই চোট কিন্তু বড় ধাক্কা দিল্লির কাছে
কেউ আবার লেখেন, ‘লজ্জাজনক আম্পায়ারিং। একেবারেই ক্রিকেটের স্পিরিটের বিরুদ্ধে হয়েছে এটা’। আর এক জনের মতে, ‘ধোনি স্টাম্পের পিছনে থাকলে ব্যাটসম্যানরা নয়, চাপে থাকেন আম্পায়ারই।’ এক জন লিখেছেন, ‘যদি এলিট প্যানেলে থাকা পল রাইফেল, যিনি কিনা বিশ্বকাপ জিতেছেন এবং ১২৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, তিনি ধোনিকে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান, তবে ভারতীয় আম্পায়ারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। এটা দুর্বল আম্পায়ারিং’। রাইফেলকে তুলোধনা করে এক জন লিখেছেন, ‘জঘন্য আম্পায়ারিং। ধোনির চাপে ওয়াইড দেওয়া হল না। আর এটাই প্রথম নয়। সব সময়ই ধোনি চাপে রাখে আম্পায়ারদের। এটাই বিস্ময়কর যে এর থেকে শিক্ষা নেওয়া হয় না। এটা কী ভাবে ওয়াইড না হয়ে যায়?’