টুর্নামেন্টে এখন টিকে রয়েছে কলকাতা। ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া।
ছিটকে গেল রাজস্থান রয়্যালস। ৬০ রানে ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে এখনও টিকে রইল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রবিবার জিতলেও অবশ্য বলা যাচ্ছে না প্লে অফে পৌঁছে গেল অইন মর্গ্যানের দল। বরং কলকাতাকে অপেক্ষায় থাকতে হল। বাকি ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে কলকাতাকে। রান রেটের বিচারে স্থির হবে নাইটদের প্লে অফ ভাগ্য। এ দিন জেতায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা উঠে এল চার নম্বরে।
২০ ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্স করে ৭ উইকেটে ১৯১ রান। রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান থামল ১৩১ রানে। জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেছিল রাজস্থান। প্রথম ওভারে প্যাট কামিন্স খরচ করেন ১৯ রান। এ বারের টুর্নামেন্টে এর আগে প্রথম ওভারে এত রান কেউ দেননি। সেই ওভারে মার হজম করলেও রবিন উথাপ্পাকে (৬) ফেরান কামিন্স। সেই শুরু। তার পরে ম্যাচ যত গড়িয়েছে কামিন্স ততই বিধ্বংসী হয়েছেন।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন বেন স্টোকস। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধেও ঝড় তুলে পঞ্চাশ করেছিলেন তিনি। এ দিন দীনেশ কার্তিকের অবিশ্বাস্য ক্যাচে ফিরতে হল স্টোকসকে (১৮)। কামিন্সের দ্বিতীয় ওভারে বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়কের ক্যাচ শরীর ছুড়ে ধরেন কার্তিক। এ বারের টুর্নামেন্টের হয়তো এটাই সেরা ক্যাচ। কার্তিক যে ওভাবে তাঁকে তালুবন্দি করবেন, তা বিশ্বাস করতে পারেননি স্টোকস নিজেও।
স্টিভ স্মিথের শক্তি, দুর্বলতা সবই জানা কামিন্সের। সেটা কাজে লাগিয়েই রাজস্থান অধিনায়ককে (৪) বোল্ড করেন কামিন্স। শিভম মাভি ফেরান ফর্মে থাকা সঞ্জু স্যামসনকে (১)। আগের অনেক ম্যাচে রাজস্থানের ত্রাতা হয়েছিলেন সঞ্জু। এ দিন চলল না তাঁর ব্যাট। রিয়ান পরাগও(০) কামিন্সের শিকার। ৪ ওভারে ৩৪ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন অজি পেসার। প্রথম ওভারে সব চেয়ে বেশি্ রান দিয়েও দাপট দেখান অজি পেসার।
অন্য দিকে বরুণ চক্রবর্তী বল হাতে রহস্যের জাল বোনেন। বাটলার (৩৫), রাহুল তেওয়াটিয়াকে (৩১) আউট করেন বরুণ। শ্রেয়াস গোপাল শেষপর্যন্ত ২৩ রানে অপরাজিত থেকে যান।দাপটের সঙ্গে জিতলেও প্লে অফের জন্য বাকি ম্যাচের দিকে এখন তাকিয়ে থাকতে হবে শাহরুখ খানের দলকে।
এ দিন কলকাতার জয়ের নায়ক অইন মর্গ্যান এবং কামিন্স। ব্যাট হাতে মর্গ্যান ৩৫ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। আর বল করতে নেমে কামিন্স ভাঙেন রাজস্থানকে। মর্গ্যান রুখে না দাঁড়ালে আরও কম রান করত কলকাতা।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কলকাতা শিবির। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই নীতিশ রানাকে আউট করেন জোফ্রা আর্চার। দ্রুত উইকেট হারালেও শুভমান গিলকে শান্ত রাখতে পারেননি রাজস্থান বোলাররা। ছন্দে ছিলেন গিল (৩৬)। তিনি এবং রাহুল ত্রিপাঠী ৭২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তেওয়াটিয়াকে মারতে গিয়ে আউট হন কেকেআর ওপেনার। সুনীল নারাইন খাতা না খুলেই ফেরেন তেওয়াটিয়ার বলে। রাহুল ত্রিপাঠী (৩৯) ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন। শ্রেয়াস গোপালকে মারতে গিয়ে উথাপ্পার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রাহুল ত্রিপাঠী। ব্যাটে রান করবেন বলে নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। এ দিন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রানই পেলেন না তিনি। পর পর উইকেট হারিয়ে একসময়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল কলকাতা। মর্গ্যান ও রাসেল দ্রুত ৪৫ রান জোড়েন। কার্তিক ত্যাগীর তৃতীয় ওভারের প্রথম দু' বলে দুটো ছক্কা মারলেও তৃতীয় বলে আউট হন রাসেল (২৫)। তাঁর জন্য ঠিক যেখানে ফিল্ডার রেখেছিলেন স্মিথ, সেখানেই মারেন ক্যারিবিয়ান তারকা। রাসেল নিজেও হতাশ হন সেই শট খেলে আউট হওয়ার জন্য। তার পরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মর্গ্যান। আর বল করতে নেমে তাঁর ছেলেরা দাপট দেখিয়ে ম্যাচ জিতে নেন।
Match 54 - @rajasthanroyals win the toss and they will bowl first against #KKR.#Dream11IPL pic.twitter.com/N4Ov9CVNQS