বেয়ারস্টোকে ফেরানোর পরে উচ্ছ্বসিত ধোনি ও জাদেজা। ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ২০ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইল চেন্নাই সুপার কিংস। এ দিন হেরে গেলে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকেই যেতে হতো ধোনিদের। মঙ্গলবার লড়াই করে ২ পয়েন্ট ঘরে তুলল চেন্নাই। আইপিএলের পয়েন্ট টেবলে ছয়ে উঠে এল তিন বারের চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে চেন্নাই তোলে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান। এ বারের আইপিএলে আগের ম্যাচগুলোয় রান তাড়া করতেই দেখা গিয়েছে চেন্নাইকে। এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনে চমক দেয় চেন্নাই। ফ্যাফ দু’ প্লেসির সঙ্গে ওপেন করতে নামেন স্যাম কারেন। শেন ওয়াটসনকে ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে নামিয়ে আনা হয়।
এ বারের টুর্নামেন্টে চেন্নাইয়ের সব চেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যানের নাম দু’প্লেসি। এ দিন তিনি ব্যর্থ হন। সন্দীপ শর্মার বলে বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা। খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। স্যাম কারেনকে দ্রুত রান তোলার জন্য ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল। নিজের কাজটা ঠিকঠাকই করছিলেন তিনি। ২১ বলে ৩১ রান করার পরে সন্দীপ শর্মার বলে বোল্ড হন কারেন।
৩৫ রানে ২ উইকেট চলে যাওয়ার পরে অম্বাতি রায়ুডু ও ওয়াটসন ৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দু'জনেই জমে গিয়েছিলেন। সেট হয়ে যাওয়ার পরে রায়ুডু ৩৪ বলে ৪১ রানে আউট হন। রায়ুডুর মতোই ফুলটস বলে মণীশ পাণ্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ওয়াটসন (৪২)। পর পর ২ উইকেট চলে যাওয়ার পরে চাপে পড়ে গিয়েছিল চেন্নাই। ধোনি আগের ফর্মে ধরা না দিলেও ১৩ বলে চটজলদি ২১ রান করেন। জাদেজা (১০ বলে ২৫) শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে চেন্নাইকে নিয়ে যান ১৬৭-তে। ওয়াটসন ও রায়ুডু আরও কিছুক্ষণ টিকে থাকলে আরও ২০ রান বেশি করতেই পারত চেন্নাই।
জবাব দিতে নেমে স্যাম কারেন বিপজ্জনক হতে দেননি ওয়ার্নারকে (৯)। ডোয়েন ব্রাভোর ডাইরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট হন মণীশ পাণ্ডে (৪)। বেয়ারস্টোকে (২৩) বোকা বানিয়ে বোল্ড করেন জাদেজা। কর্ণ শর্মার ডেলিভারি সোজা জাদেজার হাতে তুলে দেন প্রিয়ম গর্গ (১৬)। কেন উইলিয়ামসন হায়দরাবাদকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে কিউয়ি তারকা (৫৭) শার্দুল ঠাকুরের হাতে ধরা পড়লেন। ফিল্ডিং অনুযায়ী বল করে বিজয় শঙ্করকে (১২) আউট করেন ব্রাভো। রশিদ খান যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। ৮ বলে ১৪ রান করার পরে তিনিও ফিরে যান। শেষ ওভারে জেতার জন্য হায়দরাবাদের দরকার ছিল ২২ রান। শেষ ওভারে মাত্র ২ রান নেয় হায়দরাবাদ। ওয়ার্নারের দল থামল ১৪৭ রানে।
সাত ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হেরে চাপে ছিল চেন্নাই। হায়দরাবাদকে হারিয়ে সেই চাপ অনেকটাই কাটাল তারা। ২০১০ সালেও ঠিক একই রকম পরিস্থিতিতে ছিলেন ধোনিরা। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেন্নাই। এ বারও কি সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে? সময় এর উত্তর দেবে।
#CSK wins the toss and they will bat first against #SRH.#SRHvCSK #Dream11IPL pic.twitter.com/btTuiqftUJ