গায়কোয়াড় ও রায়ুডু জুটি জয়ের রাস্তায় নিয়ে যায় চেন্নাইকে। ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া।
এ বারের আইপিএল থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। অন্য দিকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর প্লে অফের দৌড়ে রয়েছে।বিরাট কোহালিদের বিরুদ্ধে বল গড়ানোর আগে চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বলেছিলেন, টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো নিয়মরক্ষার হলেও তাঁরা নিজেদের সেরাটাই দেবেন। সেটাই দেখা গেল রবিবারের দুবাইয়ে। বিরাট কোহালির ব্যাঙ্গালোরকে ৮ উইকেটে হারাল চেন্নাই।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ব্যাঙ্গালোর করেছিল ৬ উইকেটে ১৪৫ রান। রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। এ দিন জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলতে পারতো ব্যাঙ্গালোর। চেন্নাই ম্যাচ জেতায় বিলম্বিত হল ব্যাঙ্গালোরের প্লে অফে পৌঁছনো।
খেলা যত গড়াবে পিচ ততই মন্থর হবে। এই আশঙ্কা করেই কোহালি এ দিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাঙ্গালোরের প্রথম উইকেট পড়ে ৩১ রানে। অ্যারন ফিঞ্চকে (১৫) ফেরান স্যাম কারেন। আর এক ওপেনার পাড়িকল আউট হন ২২ রানে। ব্যাঙ্গালোরের রান তখন ৪৬। স্যান্টনারের বলে লং অন বাউন্ডারিতে ফ্যাফ দু' প্লেসি ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় রিলে ক্যাচে ফেরান ব্যাঙ্গালোর ওপেনারকে। এর পরে ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন কোহালি ও এবি ডিভিলিয়ার্স। এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান দ্রুত রান তোলেন। কোহালি ও ডিভিলিয়ার্স ৮২ রান জোড়েন। কোহালি ৪৩ বলে ৫০ রান করেন। অন্য দিকে ডিভিলিয়ার্স ৩৬ বলে ৩৯ রান করেন। এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান ছাড়া বাকিরা কেউই রান পাননি। মইন আলি (১), ক্রিস মরিসরা (২) এলেন আর গেলেন। চেন্নাই বোলারদের মধ্যে স্যাম কারেন (৩-১৯) ও দীপক চহার (২-৩১) সফল।
আরও পড়ুন: ধোনির পরামর্শ স্মরণ করেই চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে নামছেন সিরাজ
রান তাড়া করতে নেমে ৪৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে চেন্নাইয়ের। ক্রিস মরিসের বলে ব্যক্তিগত ২৫ রানে আউট হন ফ্যাফ দু' প্লেসি। এর পরে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও অম্বাতি রায়ুডু ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। রায়ুডুকে ৩৯ রানে বোল্ড করেন চহাল। বাকি কাজ সারেন গায়কোয়াড় ও ধোনি (অপরাজিত ১৯)।