হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুই উইকেট অমিতের। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। এই ৩৭ বছর বয়সেও তাঁর লেগ স্পিন ঝামেলায় ফেলে দেয় অনেক ব্যাটসম্যানকেই। জাতীয় দলে কোনও সময়তেই নিয়মিত ছিলেন না। যদিও দিল্লি ক্যাপিটালসের বর্ষীয়ান লেগ স্পিনার অমিত মিশ্র স্বয়ং এ সব নিয়ে ভাবতে নারাজ। তিনি বলেন, “আমি কোনওসময়েই দাম পাইনি। এই সব নিয়ে আগে ভাবতাম। উপলব্ধি করেছি এ সব ভাবনাচিন্তায় ফোকাস নষ্ট হয়ে যায়। এখন আর তাই ভাবি না। শুধু নিজের কাজেই মন দিই।” নিজের কাজ অর্থাত স্পিন বোলিংটা ঠিকঠাকই করে চলেছেন অমিত। মঙ্গলবারও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মোক্ষম সময়ে উইকেট নিলেন। একটা নয়, দুটি উইকেট। চার ওভারে দিলেন ৩৫ রান।
আইপিলের ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। তাঁর সংগ্রহ ১৭০টি উইকেট। অমিত ঠিক তাঁর পিছনেই। ১৪৯ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৫৯টি উইকেট। আইপিএলে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন এক বার। চার উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে তিন বার। তাঁর জায়গা কাড়তে পারছেন না অনেক তরুণই। শুধু আইপিএল নয়, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৫২টি ম্যাচে অমিত নিয়েছেন ৫৩৫টি উইকেট। ইনিংসে ২১বার পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। ম্যাচে ১০ উইকেটও নিয়েছেন এক বার।
২০০৩ সালে দেশের হয়ে প্রথম আত্মপ্রকাশ অমিতের। তার পরে কেটে গিয়েছে ১৭ বছর, অমিত মিশ্র এখনও খেলে চলেছেন। দেশের হয়ে ২২টি টেস্ট, ৩৬টি একদিনের ম্যাচ এবং ১০টা টি২০ খেলেছেন তিনি। এক টানা ছ'টির বেশি ম্যাচে কখনওই সুযোগ আসেনি তাঁর কাছে। ৩৭ পেরনো লেগ স্পিনার বলেন, “যতটা সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল ততটা তো পাইনি। লোকে জানে অমিত মিশ্র কে। সেটাই অনেক। আমার বোলিংয়ে ফোকাস রাখতে হবে। সেটাই আমার কাজ।”
আরও পড়ুন: ‘দেড় বছর পর খেলছে, ফর্মে ফিরতে সময় লাগবে ধোনির’, বলছেন সৌরভ
২০১৬ সালের পর দেশের জার্সিতে আর দেখা যায়নি অমিতকে। কিন্তু আইপিএলে তিনি এখনও অনেক ব্যাটসম্যানের কাছে দুঃস্বপ্ন। খেলে চলেছেন অমিত-বিক্রমে।