ছবি সংগৃহীত।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কার্যকর ক্রিকেটারের নাম হল ক্রিস মরিস। ফাস্ট বোলার যে ইনিংসের শুরুতে এবং শেষে ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখতে পারে। ব্যাটিংয়ের সময় মাঝের ওভারগুলোয় বড় শট খেলতে পারে আর পাশাপাশি দুর্দান্ত ফিল্ডারও। ক্রিস হল এমন এক জন ক্রিকেটার যে ব্যাট এবং বল হাতে যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক থাকার সময়ই আমি ক্রিসের গুরুত্ব বুঝেছিলাম। যে কারণে ২০১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ওকে প্রথমে না দেখে অবাক হই। পরে অবশ্য পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিসকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও হয় ও।
দলে ক্রিসের গুরুত্ব কতটা, তা আরও এক বার বোঝা গেল শনিবার দুবাইয়ে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে প্রথম ম্যাচেই চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চার ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিল ও। আইপিএলের প্রথম দিকে চোটের জন্য বাইরে ছিল ক্রিস। এখন ও সুস্থ হয়ে গিয়েছে আর আমাদের দলে দারুণ একটা ভারসাম্য এনে দিয়েছে। শুধু শুরুতে বা শেষে বল করাই নয়, ক্রিস কিন্তু ব্যাট হাতেও বিধ্বংসী হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। ও একজন বিশেষ ক্রিকেটার। সাধারণত দেখা যায়, ফাস্ট বোলাররা জোরে বল করা ছাড়া আর কিছু করতে পারে না। ক্রিস কিন্তু সে রকম নয়।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয়টার একটা আলাদা তাৎপর্য আছে। আমাদের সমর্থকেরা জানে, সিএসকের বিরুদ্ধে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ভাল খেলতে পারিনি। কিন্তু বিরাট কোহালির এরটা দুরন্ত ইনিংস আর সুশৃঙ্খল বোলিং আমাদের দুটো পয়েন্ট এনে দেয়।
বিরাট মাস্টারক্লাস ব্যাটিং করল। চাপের মুখে ইনিংসটাকে ঠিক মতো গড়ল, প্রয়োজনের সময় রান তোলার গতি বাড়িয়ে দিল। আর আমাদের অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়ে শিবম দুবেকে এত ভাল খেলতে দেখে দারুণ লাগল।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে মাঝে মধ্যে একটা ম্যাচ জেতা যায়। কিন্তু প্রতিযোগিতা জিততে গেলে দলগত ভাবে ভাল খেলতে হয়। এখন পর পর ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের। তাই সবাইকেই প্রয়োজনের সময় কিছু না কিছু অবদান রেখে যেতে হবে দলের জন্য।
এর আগের ১২টা আইপিএলের মধ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চারটেতে জিতেছে, সিএসকে তিনটেতে। তার কারণ, ওরা দলগত ভাবে খেলার উপরে ছাপ রেখে যেতে পেরেছে। সেটাই করাই হবে আরসিবির কাছে চ্যালেঞ্জ। (টিসিএম)