মধ্যমণি: আরসিবির অনুশীলনের মাঝে হাল্কা মেজাজে বিরাটরা। টুইটার
আমিরশাহিতে নেটে বিধ্বংসী মেজাজে রোজ ব্যাট করছেন তিনি। আরসিবির সেই অধিনায়ক বিরাট কোহালির প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত দুই ক্রিকেটার।
প্রথম জন, এবি ডিভিলিয়ার্স। আরসিবিতে খেলেন বিরাটের নেতৃত্বেই। অপর জন হরভজন সিংহ ব্যক্তিগত কারণে এ বার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলছেন না।
আরসিবি-র ইউটিউব চ্যানেলে ডিভিলিয়ার্স বলছেন, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কোহালি। অন্য দিকে, ভারতীয় ক্রিকেটের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে হরভজন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বললেন, বিরাটকে প্রথম তিনি দেখেন ২০০৮ সালের আইপিএলে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম আরসিবি ম্যাচে। যে খেলায় সনৎ জয়সূর্যের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ছক্কা মেরে তাঁকে চমকে দিয়েছিলেন বিরাট।
অধিনায়ক কোহালির প্রশংসা করে ডিভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘‘নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আমরা প্রচুর পরিশ্রম করছি। দলের প্রত্যেকেই এই নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গী। এ ব্যাপারে কৃতিত্ব বিরাটের। ও নিজেই একটা দৃষ্টান্ত। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়। এ রকম একজন নিষ্ঠাবান নেতাকে অনুসরণ করলেই কাজ হয়ে যায়।’’
আইপিএলে এ বার আরসিবি দল সম্পর্কে ডিভিলিয়ার্স বলছেন, ‘‘ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সব বিভাগেই একাধিক বিকল্প রয়েছে। এ বার তার মধ্য থেকে সেরাদের নিয়ে প্রথম একাদশ বাছবে অধিনায়ক বিরাট এবং কোচ।
এ দিকে, বিরাট সম্পর্কে হরভজনের স্মৃতিচারণ, ‘‘প্রথম দিন দেখার পরেই মনে হয়েছিল, এই ছেলেটা একদিন তারকা ক্রিকেটার হবে।’’
কেন বিরাটের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই তাঁর এ কথা মনে হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে হরভজন উল্লেখ করেছেন, প্রথম আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম আরসিবির একটি ম্যাচ। তাঁর কথায়, ‘‘সে বার আইপিএল নিলামের আগেই লালচাঁদ রাজপুতের কাছ থেকে বিরাট কোহালি সম্পর্কে শুনেছিলাম। আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকর মাঠের বাইরে থাকায় আমি অধিনায়কত্ব করছিলাম। বল করছিল জয়সূর্য। বিরাট ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসে ওর বলে ছক্কা মেরে দেয়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘জয়সূর্যের মতো একজন ক্রিকেট ব্যক্তিত্বকে ও ভাবে মারতে গিয়ে ভয় পায়নি বিরাট। তা দেখেই বুঝেছিলাম, এ ছেলে ভবিষ্যতের তারকা।’’