আকর্ষণ: রবিবার ইডেনে শাহরুখ খান। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে তাঁকে জয় উপহার দলের। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জিতে প্লে-অফে যাওয়ার আশা এখনও টিকিয়ে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এখনও দু’ম্যাচ বাকি। তার দু’ম্যাচেই জিততে হবে নাইটদের। অন্য দিকে তিন ম্যাচের মধ্যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারতে হবে দু’টি ম্যাচে।
আজ, হায়দরাবাদে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে যে জিতবে, তাদের হবে ১২ পয়েন্ট। কিন্তু এই পঞ্জাবের বিরুদ্ধেই পরের ম্যাচ কলকাতার। সেখানে জিততে পারলে অনেক এগিয়ে যাবে কেকেআর। কিন্তু তার পরে সব ক’টি ম্যাচই হারতে হবে পঞ্জাব ও হায়দরাবাদকে। কিন্তু রাজস্থান রয়্যালসকেও একটির বেশি জিতলে চলবে না। তবেই ক্ষীণ আশা থাকবে নাইটদের।
টানা ছয় ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত নাইট শিবিরে একটিই মন্ত্র কাজ করছিল, শেষ তিন ম্যাচ তাঁদের কাছে নতুন আইপিএল। তাই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান নিয়ে নেমেছিল নাইট রাইডার্স। ওপেন করতে যাওয়ার সময় শুভমনকে বলে দেওয়া হয়েছিল, অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান আছে। তাই শুরু থেকেই চালিয়ে খেলার স্বাধীনতা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: হার্দিক হ্যারিকেন সত্ত্বেও যে সব কারণে মুম্বই বধ করল কলকাতা
রবিবার সেই শুভমনই ওপেন করতে নেমে ৪৫ বলে ৭৬ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে গেলেন নাইট শিবিরে। তাঁর ইনিংসই রাসেলকে হাত খোলার রাস্তা করে দেয়। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে শুভমন বলেন, ‘‘শুরু থেকেই হাত খুলে খেলার স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে সুবিধা হয়েছে। আমাদের সে রকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।’’
রাসেলের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন গিল। সেই জুটি গড়ার সময় কী কথা হয়েছিল দু’জনের? শুভমনের উত্তর, ‘‘রাসেলকে বলেছিলাম, আমি স্পিনারদের দেখে নিচ্ছি। তুমি পেসারদের আক্রমণ করো। কারণ, রান হলেও জানতাম, আমাদের জুটি প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’’
টানা ছয় ম্যাচ হারের পরে এই জয় কতটা স্বস্তি দিচ্ছে? শুভমনের উত্তর, ‘‘স্বস্তি দেওয়ারই কথা। ড্রেসিংরুমে বলা হয়েছিল, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের সামনে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু। সেটাই বাড়তি চাগিয়ে দিয়েছিল।’’