কাঁধের চোটের কারণে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে পারছেন না প্রোটিয়া পেসার অ্যানরিখ নর্তিয়ের। এর আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন নাগরকোটি, মাভি। এ বার ছিটকে গেলেন নর্তিয়ের। ২৫ বছর বয়সীর পরিবর্তে কে আসবেন কেকেআরে, তা নিয়ে এখন চলছে জল্পনা। দেখে নেওয়া যাক, কারা হতে পারেন যোগ্য বিকল্প।
রাজস্থানের বাঁ-হাতি মিডিয়াম পেসার অনিকেত চৌধুরি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন গত দুই মরসুম। তার আগে ২০১৩ আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলে ছিলেন। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে পাঁচ ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০১৮-১৯ মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে নয় ম্যাচে ৪৯ উইকেট নিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী।
২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে নজর কেড়েছিলেন বাংলার পেসার ইশান পোড়েল। চার ম্যাচে নিয়েছিলেন ছয় উইকেট। তার মধ্যে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৭ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। ২০ বছর বয়সী এখনও আইপিএলে খেলেননি। এ বারের নিলামেও ২০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে আনসোল্ড থাকেন তিনি।
২০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসেও আইপিএল নিলামে আনসোল্ড থেকেছেন রজনীশ গুরবানি। ঘরোয়া ক্রিকেটে যদিও তিনি ধারাবাহিক থেকেছেন। ২০১৭-১৮ মরসুমের রঞ্জি ট্রফিতে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারী। ফলে আইপিএলে খেলার সুযোগ পেতেই পারেন তিনি।
অ্যানরিখ নর্তিয়ের বদলি হিসেবে কোনও বিদেশিকে নিতে হলে ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকসকে নেওয়াই যায়। এক সময় তিনি কেকেআরের হয়েও খেলেছেন। এ বারের নিলামে তিনি আনসোল্ড। গত বারের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে যদিও দাগ কাটতে পারেননি।
ক্রিস জর্ডন টি-২০ ফরম্যাটে ডেথ ওভারে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ক্ষমতা ধরেন। হাতে বৈচিত্রের অভাব নেই। সঙ্গে নিখুঁত ইয়র্কার। ৩০ বছর বয়সীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ফরম্যাটে ৪৬ উইকেট রয়েছে। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন তিনি।
৭৫ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে এ বারের নিলামে আনসোল্ড থেকে গিয়েছেন জেমস নিশাম। তিনি হলেন অলরাউন্ডার। ফলে কেকেআর দলে ভারসাম্য বাড়াতেই পারেন। হাতে স্লোয়ারের বৈচিত্র থাকায় ডেথ ওভারে কাজে আসতেও পারেন। এর আগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে কেকেআরেরও প্রতিনিধিত্ব করেছেন আইপিএলে।