সদ্য শেষ হল আইপিএল। জমে উঠেছিল প্রতিটি ম্যাচ। সেরা তারকাদের কেউ দারুণ পারফর্ম করলেন, কেউ আবার ভাল পারফর্ম করলেও দল ছিটকে গিয়েছিল আগেই। এ বার আইপিএলের সেরা একাদশ বাছলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। কিন্তু সেই দলে নেই দেশের একাধিক তারকা ক্রিকেটার। কারা রয়েছেন সেই দলে? দেখে নেওয়া যাক।
বীরু ওপেনার হিসাবে বেছে নিয়েছেন শিখর ধওয়নকে। কারণ অবশ্যই ধওয়নের বিধ্বংসী ব্যাটিং স্টাইল। ঝোড়ো ইনিংস খেলতে পারবেন বলেই দিল্লি ক্যাপিটালসের শিখরকে রাখলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ধওয়নের সঙ্গী জনি বেয়ারস্টো। বীরুর মতে রান স্কোর করার জন্য আদর্শ এই তারকা। তাই ধওয়নের সঙ্গেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বেয়ারস্টোকে বেছেছেন তিনি।
তিন নম্বরে সহবাগের পছন্দ লোকেশ রাহুল। ১৪ ম্যাচে ৫৯৩ রান করেছেন আইপিএলের ‘স্টাইলিশ প্লেয়ার’ লোকেশ রাহুল। গড় ৫৩.৯০। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল তাঁর।
চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৯ ‘ব্যাক উইথ আ ব্যাং’ হল ওয়ার্নারের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ১২ ম্যাচে ৬৯২ রান করে অজি ওপেনার থাকছেন সবার আগে। গড় ৭৯.২০। অরেঞ্জ ক্যাপ পেলেন তিনি।
ঋষভ পন্থ রয়েছেন পাঁচ নম্বরে, আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্স দিয়ে মন জয় করেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। বন্ধু মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বদলে পন্থকেই পছন্দ বীরেন্দ্র সহবাগের।
ছ’নম্বরে রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্তম্ভ ছিলেন বাহুবলী। ১৪ ম্যাচে ৫১০ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ২০৪.৮১। ১১টি উইকেটও পেয়েছেন। তাঁকে ছাড়া আইপিএলের কোনও দল হওয়া সম্ভবই নয়, মত বীরুর। তাই বিরাট কোহালি নয়, বরং রাসেলকেই বাছলেন তিনি।
সপ্তম স্থানে রয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। পাণ্ড্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ডেথ ওভারে চমৎকার ক্যামিওগুলি খেলেছেন। ২৫ বছরের তরুণ ১৬ ম্যাচে ৪০২ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৯১.৪২, ১৪টি উইকেটও রয়েছে অলরাউন্ডারের দখলে।
অষ্টম স্থানে রয়েছেন শ্রেয়স গোপাল। শ্রেয়স রাজস্থান রয়্যালসের এক জন ভরসাযোগ্য ক্রিকেটার। ১৪ ম্যাচে ২০টি উইকেট পেয়েছেন। গড় ১৭.৩৫। ইকনমি রেট ৭.২২। লোয়ার অর্ডারে ক্যামিওগুলিও ছিল চমৎকার।
কাগিসো রাবাডা রয়েছেন নবম স্থানে। ১২ ম্যাচে ২৫টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। গড় ১৪.৭২। ইকনমি রেট ৭.৮২। দলের পেস ব্যাটরির দায়িত্বে বীরু তাঁকেই রাখলেন।
দশ নম্বরে থাকছেন তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সিদ্ধহস্ত যশপ্রীত বুমরা। মুম্বই ইন্ডিয়ানসের পেস স্তম্ভ ১৬ ম্যাচে ১৯টি উইকেট পেয়েছেন। গড় ২১.৫২। ইকনমি রেট ৬.৬৩। বুমরার স্পেলে ভর করে টুর্নামেন্ট জিতে নিল মুম্বই।
১১ নম্বরে থাকছেন রাহুল চহার। মুম্বইয়ের এই তরুণের গুগলি, ফ্লিপার-সহ অনেক বৈচিত্র।সঙ্গে লাইন ও লেংথও ভাল। আইপিএলের ফাইনালেও নজরকাড়া বোলারকে তাই নিতে চেয়েছেন বীরু।