এখনও পর্যন্ত নিলাম শুরু হয়নি ২০১৯ সালের আইপিএলের। যদিও ইতিমধ্যেই দর নিয়ে নানা তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার যাঁরা অনেকেই গত বারে তেমন কিছু করতে পারেননি, এ বার নিজেদের বেস প্রাইস রেখেছেন ২ কোটি। দেখে নেওয়া যাক এমনই কয়েক জনকে।
কোরে অ্যান্ডারসর: গত বার বেঙ্গালুরুর জার্সি পরেছিলেন। কিন্তু, ২০১৮-এর আইপিএল মোটেই ভাল ছিল না। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন। পেয়েছিলেন মাত্র তিনটি উইকেট, সব মিলিয়ে রান করেছিলেন ১৭।
স্যাম কুরান: ইংল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। আগামী বিশ্বকাপে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে চলেছেন। তবে আইপিএলে এখনও পরীক্ষিত নয়। ছোট ফর্ম্যাটে গড়ও তেমন আহামরি নয়। তিনিও নিজেকে রেখেছেন সর্বোচ্চ বেস প্রাইসে।
কলিন ইনগ্রাম: দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৩ বছরের এই ক্রিকেটারটি জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন বহু দিন আগে। যদিও নিজেকে ২ কোটির বেস প্রাইসে রেখেছেন তিনি। গত বারও একই বেস প্রাইস রেখেছিলেন। কিন্তু, কোনও দলই তাঁকে কেনেনি।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ: শ্রীলঙ্কা দলের গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার। কিন্তু, ইদানিং ফর্মের ধারে কাছেও নেই বলা চলে। যদিও নিজের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি নেই।
লাসিথ মালিঙ্গা: এক সময় তিনি ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। কিন্তু, সেই দিন আর নেই। শেষ আইপিএল ২০১৭। ১২টি খেলায় পেয়েছিলেন মাত্র ১১টি উইকেট। এ বার নিজেকে ২ কোটির বেস প্রাইজে রেখেছেন।
শন মার্শ: ফর্মের ধারে কাছে নেই। টেস্টে পর পর ছয়টি ইনিংসে দশের কম রান করে ১৩০ বছরের লজ্জার রেকর্ড ভেঙেছেন। ২০১৭-এ শেষ আইপিএল খেলেন, ৯টি ম্যাচে করেছিলেন ২৬৪ রান। তবে এত কিছুর পরও এ বারে নিজেকে ২ কোটির বেস প্রাইসে রেখেছেন।
ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম: এক সময় টি২০তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। যদিও বর্তমানে তেমন কিছুই আর করতে পারছেন না। আইপিএল-এও তেমন কিছু করতে পারছেন না। তাও নিজেকে ২ কোটির বেস প্রাইসে রেখেছেন।
ডি’আর্কি শর্ট: এই অজি ক্রিকেটারটি জাতীয় দলেও তেমন কিছু নজর কাড়তে পারেননি। আইপিএল-এর সূচনা পর্বেও তেমন বলার মতো কিছু নেই। যদি নিজের দর বেশ ভালই রেখেছেন।
ক্রিস ওকস: গত বার বেঙ্গালুরুর হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। ইংল্যান্ডের বোলার-অলরাউন্ডারটির আশা এ বারও ভাল দর উঠবে তাঁর।