মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মোট তিন বার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু দ্বাদশ আইপিএলের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি মুম্বইয়ের। প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে দিল্লির বিরুদ্ধে। এ বার সামনে কোহালির আরসিবি। বিরাটের দলকে টেক্কা দিতে বিরাটদের ঘরের মাঠে কাদের নামাবেন রোহিত?
ওপেনার হিসেবে বিশ্বকাপে নামার আগে আইপিএল থেকে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে রাখতে চাইছেন রোহিত শর্মা। ক্যাপ্টেন হিটম্যানের হাত ধরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দল। তিনিই প্রথমে নামবেন। গত ম্যাচে যদিও ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয় স্থানে নামার কথা কুইন্টন ডি ককের। কুইন্টন গত ম্যাচে ১৬ বলে ২৭ রান করে ভরসা দিয়েছিলেন দলকে। উইকেটকিপিংও তাঁরই করার কথা।
তৃতীয় স্থানে নামার কথা সূর্যকুমার যাদবের। দলের ইন ফর্ম ব্যাটসম্যান। ভাল ফর্মে থাকলে বিপক্ষের বোলারদের বিপাকে ফেলবেন এই প্রাক্তন নাইট।
চারে থাকবেন ‘বৃদ্ধ’ যুবরাজ। গত ম্যাচে ৩৫ বলে ৫৩ রান করে ফর্মে থাকার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন এই বাঁহাতি।
পাঁচ নম্বরে নামার কথা কিয়েরন পোলার্ডের। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম আইপিএল থেকেই ভাল পারফর্ম করেছেন তিনি। ১৩ বলে ২১ রান করেছেন গত ম্যাচে।
হার্দিক পাণ্ড্য ব্যাটে বলে দলের ভরসা বলা যেতেই পারে। গত ম্যাচে ক্রিজে টিকে যাওয়া জাতীয় দলের সতীর্থ শিখর ধওয়ানের উইকেটটি নিয়েছিলেন হার্দিক। তবে ব্যাটে রান পাননি।
ক্রুণাল পাণ্ড্য ১৫ বলে ৩২ রান করেন গত ম্যাচে। বলটাও ভালই করেন তিনি। সাত নম্বরে খেলার কথা তাঁর।
আট নম্বরে নামার কথা বেন কাটিংয়ের। বলের মতোই ব্যাট হাতে বিপক্ষ শিবিরকে ভয় ধরাতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার। গত ম্যাচে কলিন ইনগ্রামের উইকেট নেন তিনি।
মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান গত ম্যাচের অন্যতম সফল বোলার। তিন তিনটি উইকেট ছিল তাঁর দখলে। নিউজিল্যান্ডের পেসার বল হাতে আজও ঝলসে উঠবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
আইপিএলে অভিষেক হল ১৭ বছরের রাসিখ সালাম দারের। প্রথম ম্যাচে চার ওভার বল করে ৪২ রান খরচ করে কোনও উইকেট পায়নি ১৭ বছরের এই ডান হাতি পেসার। তবে তিনি থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই ঝড় তুলতে পারেন যশপ্রীত বুমরা। চোট সারিয়ে সুস্থও হয়ে উঠেছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি দলে থাকলে জাতীয় দলের প্রিয় সতীর্থ কোহালিকে বল করবেন বুমরা।