সফল: ;চিপকে ম্যাচের সেরা হরভজন সিংহ। টুইটার
আইপিএলের প্রথম ম্যাচের পরেই চিপকের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কিন্তু সমস্ত সমালোচনা উড়িয়ে দিচ্ছেন হরভজন সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, চিপকের উইকেটে ব্যাট করা কঠিন ছিল। কিন্তু তা কোনও সময়েই খেলার অযোগ্য ছিল না।
শনিবার তাঁর স্পিন-ঘূর্ণির কাছেই হার মানতে বাধ্য হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। যদিও ম্যাচের শেষে দু’দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিরাট কোহালি জানিয়ে যান, এমন উইকেট কাম্য ছিল না। কিন্তু সেই ব্যাখ্যা উড়িয়ে দিয়েছেন শনিবার চেন্নাইয়ের নায়ক ভারতীয় অফস্পিনার। যাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রাক্তন পাকিস্তানি অফস্পিনার শাকলিন মুস্তাক। তিনি টুইট করেছেন, ‘‘আমার বন্ধু ম্যাচের সেরা হয়েছে। অনেক অভিনন্দন।’’
চিপকের বাইশ গজ নিয়ে হরভজনের ব্যাখ্যা, ‘‘এটা ঠিকই যে, এই উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। কিন্তু তা খেলার অযোগ্য ছিল, সেটা কিন্তু কখনওই বলা যাবে না।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘আমরা যখন ভাল উইকেটে ১৭০-১৮০ রানের ম্যাচ দেখি, তখন কিন্তু পিচ নিয়ে প্রশ্ন করেন না। কিন্তু স্পিনাররা ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করলেই সকলে খুব সমস্যায় পড়ে যান। প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, কি ভাবে এটা হল?’’
শনিবার আরসিবি-র বিরুদ্ধে হরভজনের বোলিং পরিসংখ্যান ছিল রীতিমতো ঈর্ষাদায়ক। ৪-০-২০-৩। হরভজন বলেছেন, ‘‘ম্যাচে যখন প্রচুর রান ওঠে, তখন কিন্তু কারও কোনও সমস্যা থাকে না। আসলে মানুষ এটা ভুলে যান যে, ক্রিকেটে বোলারদেরও একটা ভূমিকা রয়েছে। সকলকেই এটা মনে রাখতে হবে ক্রিকেট আসলে ব্যাট এবং বলের লড়াই।’’ আরসিবি-র ৭০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে ওরা বেশ কয়েকটা বাজে শট নিয়েছে। না হলে কিন্তু এই উইকেট ৭০ রানের মতো নয়। আরও একটু ধরে খেলতে পারলে কমপক্ষে ১২০ রান উঠত।’’
তবে এত কিছুর পরে হরভজন এটা মেনে নিয়েছেন যে, উইকেট থেকে এতটা টার্ন প্রত্যাশা করেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘চিপকের উইকেটে বল ঘোরে। কিন্তু নিরপেক্ষ ভাবে এটা বলতে পারি, আমরাও কেউ এতটা টার্ন আশা করিনি। আমরা একানেই অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি। উইকেট বেশ ভাল ছিল। আমার মনে হয়, পরের দিকে চিপকের উইকেট ভাল হয়ে যাবে।’’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে হরভজন বলেছেন, ‘‘কোহালি, ডিভিলিয়ার্স, মইনের মতো ক্রিকেটারের উইকেট পাওয়া আমার কাছে দারুণ তৃপ্তির।’’ যোগ করেছেন, ‘‘অনেকেই আমাকে বয়স্কদের তালিকায় ফেলে দিয়েছে, তবে অভিজ্ঞতারও একটা বড় গুরুত্ব রয়েছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। যে জিনিসটা আমি বছরের পর বছর ক্রিকেট খেলে অর্জন করেছি। এটা আমার থেকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবেন না। আমি কৃতজ্ঞ দলের জয়ে বড় ভূমিকা নিতে পেরে।’’ সতীর্থ রবীন্দ্র জাডেজার প্রশংসা করে হরভজন বলেছেন, ‘‘আমি জানি না, বিশ্বকাপে জাডেজা খেলবে কি না। তবে ও ব্যাটিং, বোলিংয়ের পাশাপাশি দারুণ ফিল্ডিংও করে। তবে আমার মনে হয় বিশ্বকাপের দলে জাডেজার মতো ক্রিকেটার থাকলে ভারতের উপকারই হবে।’’