হার্দিক পাণ্ড্যর ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স আবারও দেখিয়ে দিয়ে গেল, দলে অলরাউন্ডারের প্রয়োজনীয়তা কতটা। তা সে ধরনের ক্রিকেটই হোক না কেন। যে আত্মবিশ্বাস হার্দিকের মধ্যে দেখা গেল বুধবার রাতে, তা ভারতীয় দলের জন্যও ভাল লক্ষণ। ও যদি ভাল ছন্দে থাকে, ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।
একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি যে, চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিংয়ের প্রতি হার্দিকের একটা বিশেষ আকর্ষণ আছে। সব সময় ও চেন্নাইয়ের বোলিংয়ের মোকাবিলা করা উপভোগ করেছে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না। বলের গতিও বাড়িয়েছে। মাঠে সব সময় দৌড়ে বেড়াচ্ছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের খুব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছে ও। ওদের আইপিএল ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে হার্দিকের উপর। প্রায় হেরে যাওয়ার মতো অবস্থা থেকে খেলা ঘোরানোটা ওর সব চেয়ে বড় গুণ। তুলনা করছি না, কিন্তু এই গুণটা কপিল দেবের মধ্যে খুবই দেখতাম। কপিল কিছুতেই পরিস্থিতির কাছে আত্মসমর্পণ করত না। ব্যাট হোক কী বল হাতে, পরিস্থিতিকে কখনও ঘাড়ে চাপতে দিত না ও। যে কোনও অবস্থাতেই কপিল নিজের খেলা চালিয়ে যেতে পারত। মানছি, এ ভাবে খেললে সব সময় প্রত্যাশা মতো ফল পাওয়া যাবে না। কিন্তু কপিল কখনও লড়াই না করে হার স্বীকার করেনি।
আজ, শুক্রবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হতে যাচ্ছে বিরাটদের জন্য। চারটে ম্যাচের পরে একমাত্র ওরাই এখনও কোনও পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি। কেকেআরের বিরুদ্ধে ওদের সঠিক একাদশটা বেছে নিতেই হবে। আরসিবির ব্যাটিং কোহালি এবং এবি ডিভিলিয়ার্সের উপর অতিরিক্ত নির্ভর বলে অনেক কথাই বলা হয়েছে। আমার মনে হয় বোলিং বিভাগে যুজবেন্দ্র চহালের যথেষ্ট সমর্থন না থাকাটাও ওদের ভোগাচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে উমেশ যাদব যেন খেই হারানো এক বোলার। নতুন বলে অন্য বোলাররাও প্রচুর রান দিচ্ছে। তার ফলে লেগস্পিনার চহালের দুরন্ত বোলিং কোনও কাজেই আসছে না। উইকেট তোলা বোলার দলে থাকলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বুধবার দ্রুত দু’টো উইকেট তুলে নিয়ে বেহরেনডর্ফ যেমন তফাত গড়ে দিয়ে গেল। প্রত্যেক দলেই নতুন বলে উইকেট তোলার মতো এ রকম এক জন বোলার আছে। বিরাটদের দলে কেউ নেই। আর কে না জানে, শুরুতে একটা বড় পার্টনারশিপ হয়ে গেলে খেলা ধরা খুবই কঠিন।
আরসিবি বোলিং বিভাগকে তাই সকলে মিলে ভাল করতে হবে। একা চহালের উপর নির্ভর করলে চলবে না। চিন্নাস্বামীতে কারা ফেভারিট হিসেবে শুরু করছে, তা বলার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। (টিসিএম)