টানা ম্যাচ হারার হতাশা সঙ্গী ছিল এ বারের আইপিএলের শুরুর দিকে। কিন্তু প্রতিযোগিতার মাঝপথে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিরাট কোহালির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
শুক্রবার ইডেনে কেকেআরকে হারিয়ে আনন্দের আবহ আরসিবি শিবিরে। দলের অধিনায়ক বিরাট কোহালি ঝড় তুলেছিলেন ব্যাটে। ৫৮ বলে ১০০ রান করতে গিয়ে তিনি মারেন ৯টি চার ও চারটি ছক্কা।
কলকাতা নাইট রাইডার্স ব্যাটিংয়ের সময় আবার শেষ পাঁচ ওভারে আবার পাল্টা ঝড় তুলেছিলেন আন্দ্রে রাসেলও। আইপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান করার পাশাপাশি তিনি করেন ২৫ বলে ৬৫ রান। মারেন দু’টি চার ও ন’টি ছক্কা।
বিপক্ষ ব্যাটসম্যানের যে অতিমানবিক ইনিংস দেখে কুর্নিশ করছেন জয়ী দলের অধিনায়ক বিরাটও। বলছেন, ‘‘শেষের দিকের ওভারগুলো কঠিন ছিল। বিশেষ করে ইডেনের মতো মাঠে। যেখানে পিচ শক্ত। আর আউটফিল্ডে পড়ে বল দ্রুত যায়। সেখানে এ রকম একটা দুরন্ত ইনিংস উপহার দেওয়ার জন্য রাসেলের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানাতেই হচ্ছে। রাসেল এত জোরে বলগুলোকে মাঠের বাইরে ফেলছিল যা অন্য কাউকে মারতে দেখিনি।’’
কেকেআরকে ১০ রানে হারিয়ে বিরাট বলছেন, ‘‘ইডেনে জয় পেয়ে দারুণ লাগছে। এখানে এসে জিতে ফেরাটা দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের কাছে।’’ সঙ্গে ম্যাচ জেতার কারণ হিসেবে বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে যোগ করেন, ‘‘শেষের দিকে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে ক্ষেত্রে বোলারদের উপর আস্থা রাখতেই হত। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে, বিষয়টা বোলারদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। শেষের দুই ওভারে স্টোয়নিস ও মইনের কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের সাহায্য করেছে জয় পেতে। বিশেষ করে স্টোয়নিস ১৯তম ওভারে যে ভাবে বোলিং করল তা দারুণ। যে তিনটি ও বল মারতে দেয়নি সেটাই শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে আমাদের জয় পেতে। আর শেষ ওভারে মইনের ওভারটাও গুরুত্বপূর্ণ। সতীর্থদের কাছ থেকে এর বেশি আর কী চাইতে পারি।’’
পাশাপাশি এ দিন শেষ পাঁচ ওভারে ঝড় তুলে আরসিবি-র রান ২১৩-তে পৌঁছে যাওয়া সম্পর্কে বিরাট মইন আলির প্রশংসা করে বলেন, ‘‘ভাবিনি আমাদের রান দু’শোর উপরে যাবে। ধারণা ছিল ইডেনের পিচে ১৭০-১৭৫ রান উঠবে। কিন্তু মইন খেলাটা ঘুরিয়ে দেয়।’’ যে যুক্তি মেনে নিয়েছেন কেকেআর অধিনায়কও।