আইপিএল সদ্য শেষ হয়েছে, কিন্তু তার রেশ যেন কাটতেই থাকছে না। তবে যাঁদের নিয়ে প্রচুর আশা ছিল, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সেই অর্থে সাড়া জাগাতে পারলেন না। কিছু ম্যাচে ভাল খেললেও ধারাবাহিকতার অভাব তো ছিলই। ফ্লপ বললেও ভুল হবে না। সেই তালিকায় রয়েছেন একাধিক ভারতীয় বিশ্বকাপার। কারা রইলেন সেই দলে? দেখে নেওয়া যাক।
পৃথ্বী শ: চলতি বছরে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন। ১৬টি ম্যাচে ৩৫৩ রান করেছেন, গড় ২২.০৬, সর্বোচ্চ রান ৯৯। প্রয়োজনের সময় বিশেষ করে প্লে অফে সেই অর্থে ভাল পারফরম্যান্স ছিল না।
রবীন উথাপ্পা: কলকাতা নাইট রাইডার্সের সবচেয়ে বড় ভরসা ভাবা হয়েছিল তাঁকে, কিন্তু সাড়া জাগাতে পারলেন কই? মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হলেন, ধারাবাহিকতা ছিল না। ১৪ ম্যাচে ২৮২ রান করেছেন। গড় ৩১। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ৬৭। স্ট্রাইক রেট মাত্র ১১৫। সব মিলিয়ে ৩৮টি চার মেরেছেন টুর্নামেন্টে। তাঁর ব্যর্থতায় অন্তত দু’টি ম্যাচ হারে কলকাতা।
অম্বাতী রায়ুডু: মিডল অর্ডারে চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম ভরসা ছিলেন। ১৭টি ম্যাচে ২৮২ রান করেছেন, গড় ২৩.৫০, সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ৫৭। ফাইনালে রায়ুডুর ব্যর্থতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দল।
বিজয় শঙ্কর: তাঁকে নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও একটা উচ্চ ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। রয়েছেন বিশ্বকাপ দলেও। কিন্তু আইপিএলে ধারাবাহিকতা ছিল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই ক্রিকেটারের। ১৫ ম্যাচে ২৪৪ রান করেছেন। গড় ২০.৩৩, সর্বোচ্চ রান ৪০।
জয়দেব উনাদকট: রাজস্থান রয়্যালসের এই ক্রিকেটার ঠিক সময়ে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলেন। ১১ ম্যাচে মাত্র ১০টি উইকেট পেয়েছেন, ইকনমি রেট ছিল ১০.৬৬।
বেন স্টোকস: রাজস্থানের এই অলরাউন্ডারের জন্য চলতি আইপিএল মোটেও সুখকর ছিল না। ৯টি ম্যাচে ১২৩ রান করেছেন, ৬টি উইকেট পেয়েছেন। ইকনমি রেট ছিল ১১.২২।
কেদার যাদব: চেন্নাই সুপার কিংসে মিডল অর্ডারের হিরো ভাবা হয়েছিল তাঁকে, রয়েছেন বিশ্বকাপ দলেও। কিন্তু পারলেন না কেদার। ১৪টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১৬২ রান করেছেন, গড় ১৮, সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ৫৮।
উমেশ যাদব: ২০১৮ সালের সেরা বোলারদের অন্যতম ছিলেন তিনি। কিন্তু চলতি বছরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে তিনি চরম ব্যর্থ, বিশেষ করে ডেথ ওভারগুলোয় একেবারেই কাজে আসেননি তিনি। ১১ ম্যাচে মাত্র ৮ উইকেট পেয়েছেন, ইকনমি রেট ৯.৮০।
অ্যান্ড্রু টাই: অস্ট্রেলীয় এই পেসার ২০১৮ সালের পার্পল ক্যাপ উইনার ছিলেন, কিন্তু চলতি বছরে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে ব্যর্থ তিনি। ৬টি ম্যাচে ৩টি উইকেট পেয়েছেন, ইকনমি রেট ছিল ১০.৫৯।
মুজিবুর রহমান: আফগান এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হবে প্রতিপক্ষ, এমনটাই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে সেই অর্থে ভরসা দিতে পারলেন না। ৫টি ম্যাচে ৩ উইকেট পেলেন, ইকনমি রেট ১০.০৫।
কুলদীপ যাদব: কেকেআরের অন্যতম ভরসা ছিলেন চায়নাম্যান। কিন্তু আত্মবিশ্বাসটাই যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। ৯টি ম্যাচে মাত্র ৪টি উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ, ইকনমি রেট ৮.৬৬। বিশ্বকাপে ভারতের অন্যতম ভরসা ভাবা হচ্ছে তাঁকে।