বেঙ্গালুরু থেকে জয়পুর পৌঁছে গিয়েছে টিম কেকেআর। কিন্তু আন্দ্রে রাসেল নিয়ে উন্মাদনা যেন শেষ হওয়ার নয়। কলকাতা শিবিরের জামাইকান এই তারকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন এই তারকা। প্রথম তিনি নজরে আসেন ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ জিতিয়ে। সে ম্যাচে ৪০ বলে ৬৪ করেছিলেন রাসেল।
তবে ২০১৩ সালে উর্চেস্টশায়ারের সঙ্গে টি২০ লিগে ও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জামাইকা তালাওয়াহার হয়ে বেশ ভাল খেলেছিলেন তিনি।
২০১৫ সালে আইপিএলে ম্যান অব দ্য সিরিজ পান তিনি। ১৮৬.৮৬ স্ট্রাইক রেট ছাড়াও ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
২০১৪ সালে কেকেআরের হয়ে আইপিএল খেতাব জেতেন, সিপিএল খেতাব জেতেন জামাইকা তালাওয়াহার হয়ে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ জেতেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানের হয়ে। বিবিএল খেতাব জেতেন সিডনি থান্ডারের হয়ে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের সুপার লিগ জেতেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে।
২০১৪ সালেই শুরু করেন নিজের দ্বিতীয় কেরিয়ার। তৈরি করেন গানের ব্যান্ড। ড্রি রুস নামে সেখানে লিড সিঙ্গার ছিলেন তিনি। দুটি অ্যালবামও রয়েছে তাঁর। বলিউড অভিনেত্রীদের তাঁর মিউজিক ভিডিয়োয় কাজ করানোতেও আগ্রহী রাসেল।
২০১৫ সালে তিন বার জামাইকার অ্যান্টি ডোপিং কমিশনের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। একটি প্যানেল তাঁর খেলায় নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এক বছর পর জামাইকার টি২০ লিগে ফিরে আসেন তিনি।
রাসেলের জীবন যে বর্ণময়, এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে ছোটবেলায় বেশ দরিদ্রই ছিলেন তাঁরা। মা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। পরিবারে আয় ছিল বেশ কম।
মা-বাবা চেয়েছিলেন রাসেলও উচ্চশিক্ষার পাঠ নিক। কিন্তু রাসেল ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলেন। নিজেকে প্রমাণের জন্য দু’বছর সময় চেয়ে নিন তিনি।
ছেলের স্বপ্ন সফল করতে কষ্ট করে হলেও ক্রিকেট কিট কিনে দিতেন বাবা-মা।
ইন্ডিয়া এ দলের বিরুদ্ধে চার বলে চার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। টি ২০ ক্রিকেটে এমন রেকর্ড আর কারও নেই।
চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত চার ম্যাচে ২০৭ রান করেছেন রাসেল। স্ট্রাইক রেট ২৬৮.৮৩।