আইপিএলে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে তাক লেগে গিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু বিশ্বকাপ দলে তিনি সুযোগ পাননি। তা নিয়ে ক্ষোভেরও অন্ত নেই অনুরাগীদের। দিল্লি ক্যাপিটালসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ঋষভ পন্থ। ওয়াসিম জাফর ও অভিনব মুকুন্দের পর তৃতীয় কনিষ্ঠতম ভারতীয় হিসাবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ত্রিশতরান করেন তিনি। সারা বিশ্বের নিরিখে তিনি চতুর্থ। রঞ্জি ট্রফিতে ২০১৬ সালে ৩২৬ বলে ৩০৮ রান করেন ঋষভ।
দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসাবে তিনি রঞ্জি ট্রফিতে ত্রিশতরান করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বিচারে সপ্তম।
৩০৮ ছিল দিল্লির তরফে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। এর আগে রমন লাম্বা ১৯৯৪ সালে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ৩১২ রান করেছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে।
অনূর্ধ্ব ১৯-এ বিশ্বকাপে নেপালের বিরুদ্ধে দ্রুততম অর্ধশতরান করেন তিনি। ভারতের ফাইনালে পৌঁছনোর অন্যতম কারণ তিনিই ছিলেন। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল পন্থের।
পন্থ জন্মেছেন রুরকী, হরিদ্বারে। কিন্তু দিল্লি, রাজস্থান প্রতিটি রাজ্যই ঘুরেছেন ক্রিকেটের স্বার্থে। ১২ বছর বয়স থেকেই শিখর ধওয়নের মেন্টর তারক সিন্হার কাছে প্রশিক্ষণ নিতে দিল্লি যান পন্থ।
তারকের কথামতোই রাজস্থানের একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে যান পন্থ। অনূর্ধ্ব ১৪ ও ১৬-তেও রাজ্যের হয়ে খেলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বহিরাগত বলে রাজ্য দল এবং অ্যাকাডেমি থেকে বার করে দেওয়া হয় তাঁকে।
তাঁর স্কুলের শেষ দুটো বছর এর পর ফের দিল্লিতে চলে আসে পন্থের পরিবার। কারণ ছেলের খেলাই ছিল তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির হয়ে খেলতে নামেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ডেবিউ হয় ২০১৫ সালে। ৫৭ রান করেন।
অনূর্ধ্ব ১৯-এ নামিবিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান করে ভারতকে সেমিফাইনালে পৌঁছতে যে দিন সাহায্য করেন পন্থ, সে দিনই দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ১.৯ কোটি টাকায় কেনে তাঁকে।
২০১৬-২০১৭ সালে ৪৮ বলে ১০০ রান করে নির্বাচকদের নজরে আসেন তিনি। ২০১৭ সালে দেশের হয়ে টি২০ স্কোয়াডে সুযোগ পান তিনি। সুযোগ পান টেস্টেও। ৯টি টেস্টে ৬৯৬ রান করেন তিনি। ৪০টি ক্যাচ ও দু’টি স্ট্যাম্প রয়েছে তাঁর দখলে।
আসলে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট পন্থের আদর্শ। ৫টি একদিনের ম্যাচে ৯৩ রান করেছেন পন্থ।