আইপিএল-এর গত ১১টা সেশন ধরে কেউ কেউ ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করে আসছেন। এমনও অনেকে আছেন যাঁরা পরিচিত হয়ে আছেন শুধুমাত্র কয়েকটি ম্যাচের জন্য। অসম্ভব প্রতিভাবান, ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী তারকা— এই রকম একাধিক বিশেষণের পরেও হারিয়ে গিয়েছেন অনেকে। দেখে নেওয়া যাক এমনই এক জনকে।
পাঞ্জাবের তরুণ লেগস্পিনার রাহুল শর্মাকে মনে আছে? ২০০৬ সালে রাজস্থানের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলেছিলেন। তবে ২০১১ সালে আইপিএলে নজর কাড়েন তিনি।
আইপিএল অভিষেকের ঠিক আগেই বেলস পালসি নামে একটি রোগে আক্রান্ত হন তিনি। স্নায়ুঘটিত এই রোগের ফলে চোখে সমস্যা ছিল রাহুলের।
জীবন শুরু করেছিলেন মিডিয়াম পেসার হিসাবে। তবে কিছু দিনের মধ্যেই লেগ স্পিনার হয়ে যান।
পুণে ওয়ারিয়র্সের হয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। ২০১০ সালে আইপিএল ডেবিউতেই ৬টি ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। সব মিলে ১৪টি উইকেট পান তিনি।
নির্বাচকদের নজর থেকে দূরে সরে যান তিনি। ২০১৩ সালে ইন্ডিয়া এ দলের হয়ে দুর্দান্ত কামব্যাক করেন তিনি। টি২০ সিরিজে পাঁচ উইকেট পান।
২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ৪৩ রানে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
ভারতের হয়ে চারটি ওয়ানডে আর দু’টি টি২০ খেলেছিলেন তিনি।
তবে ২০১২ সালে রেভ পার্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েন পার্নেলের সঙ্গে আটক করা হয় তাঁকে। মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। যদিও প্রথম থেকেই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন রাহুল।
মু্ম্বই ইন্ডিয়ানসের বিরুদ্ধে তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ৪-০-৭-২। অনেকেই সেই স্পেলকে আইপিএল ২০১১-এর সেরা স্পেল বলেছিলেন।
এর পর ২০১৪ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেললেও উইকেট পাননি তিনি। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৩২ রান দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে চেন্নাই কেনে তাঁকে। কিন্তু তেমন সাফল্য পাননি।
রেভ পার্টির দাগ মুছে জাতীয় ফেরার চেষ্টা করছেন রাহুল, সূত্র বলছে এমনটাই। রাহুল বলেন, ‘অনিল কুম্বলে, যুবরাজ সিংহ, বিসিসিআই সাহায্য করেছে বলে এখনও লড়াই করছি।’ কিন্তু কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চহালদের মতো ক্রিকেটার থাকতে তাঁর ফেরাটা বেশ মুশকিল আইপিএলে কোনও দল না পাওয়া রাহুলের।