দরজায় কড়া নাড়ছে ১২তম আইপিএল। প্রতিটি দলই তাদের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। আইপিএলে সফল হওয়ার অন্যতম শর্ত ওপেনিং জুটির সাফল্য। ওপেনাররা যত সফল্য পাবেন, সেই দলের সফল হওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যায়। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক প্রতিটি দলের সম্ভাব্য ওপেনিং জুটিদের, যাঁরা শুরুতেই ঝড় তুলতে পারেন।
শেন ওয়াটসন এবং অম্বাতি রায়ুডু: ১১৭ ম্যাচে ওয়াটসনের গড় ৩২-এর বেশি। অপর দিকে ১৩০টি ম্যাচে রায়ুডুর গড় প্রায় তিরিশ। দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে ওয়াটসন-রায়ুডু জুটির তুলনা করা কঠিন।
ডেভিড ওয়ার্নার এবং কেন উইলিয়ামসন: গত বছর নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি ওয়ার্নার। এ বার তিনি দলে ফিরছেন। আইপিএলে চার হাজারের বেশি রান করা ওয়ার্নারের সঙ্গে ইনিংস শুরু করার সম্ভাবনা কেন উইলিয়ামসনের।
ক্রিস লিন এবং সুনীল নারিন: কলকাতার হয়ে নারিন ৪৮ ইনিংসে প্রায় ৭০০ রান করেছেন। অন্যদিকে, ২৮ ম্যাচে ৮৭৫ রান করেছেন লিন। গড় ৩৫। ইনিংসের শুরুতে দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে নারিন বার বার নজর কেড়েছেন।
জস বাটলার এবং মনন ভোরা: বাটলার এখনও পর্যন্ত ৩৭টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। গড় ৩৪-এর বেশি। অন্য দিকে, প্রায় ৫০টি ম্যাচ খেলা ভোরা হাজারের বেশি রান করে ফেলেছেন।
এভিন লিউইস এবং রোহিত শর্মা: অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে এভিন লিউইসের ওপেন করার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। এই মুহূর্তে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে রোহিতের তুলনা তিনি নিজেই। ১৭৩ ম্যাচে প্রায় সাড়ে চার হাজার রান করা রোহিত শর্মা মুম্বইযের বড় ভরসা। সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান লিউইস তো আছেনই।
পার্থিব পটেল এবং বিরাট কোহালি: অধিনায়ক বিরাট কোহালির তুলনা তিনি নিজেই। এই মুহূর্তে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন তিনি। অধিনায়ক কোহালির সঙ্গে বেঙ্গালুরুর ইনিংস শুরু করার কথা পার্থিবের। বিরাটের সঙ্গে ব্যাট করার সময় একটা বাড়তি চাপ তো থাকবেই। কোহালির গড় প্রায় ৩৯। আইপিএলে চারটি শতরান রয়েছে তাঁর।
ময়াঙ্ক আগরওয়াল এবং লোকেশ রাহুল: গত ইংল্যান্ড সফর থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া— লোকেশ রাহুলের ব্যাড প্যাচ চলছে তো চলছেই। সে জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরের শেষ দিকে ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে দলে নেওয়া হয়। এখন দেখার পঞ্জাবের হয়ে দুই বন্ধু ময়াঙ্ক-রাহুল কেমন শুরু করতে পারেন। যদিও ৩৮-এর বেশি গড় থাকা রাহুল সম্প্রতি টিভি-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
শিখর ধওয়ন এবং পৃথ্বী শ: দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই ওপেনার। ফর্মে থাকলে শুরুতেই ঝড় তোলার ক্ষেত্রে শিখরের বিকল্প খুবই কম জনই আছেন। আর তরুণ পৃথ্বী শয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটের সাফল্য তো চমকে দেওয়ার মতো। এখন পর্যন্ত ১৪৩ আইপিএল ম্যাচে শিখর করেছেন চার হাজারের বেশি রান।