তিন বার আইপিএলের ফাইনালে উঠলেও এক বারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অথচ প্রায় প্রতি বারই ফেভারিটের তকমা পায় তারা। প্রথম আইপিএলেও জাক কালিস, রাহুল দ্রাবিড়দের নিয়ে তারকাখচিত দল বানিয়েছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু বেশ খারাপ ফল করে তারা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আইপিলের প্রথম ম্যাচ খেলা সেই দলের ক্রিকেটাররা আজ কোথায়।
রাহুল দ্রাবিড়: আরসিবির প্রথম দলের অধিনায়ক। প্রথম আইপিএলে আরসিবির হয়ে সর্বাধিক রান করেছিলেন তিনি। ১৪ ম্যাচে ৩৭১ রান করছিলেন ‘দ্য ওয়াল’। তবে প্রথম ম্যাচে নাইটদের বিরুদ্ধে মাত্র ২ রান করেছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে দ্রাবিড় ভারতীয় এ এবং ভারতের জুনিয়র দলের কোচ। তাঁর কোচিংয়ে এ বছর অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত।
ওয়াসিম জাফর: প্রথম আইপিএল ম্যাচে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন জাফর। আইপিএলের ছ’টি ম্যাচে মাত্র ১১৫ রান করেছিলেন তিনি। এখনও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন চল্লিশোর্ধ্ব ওয়াসিম। সম্প্রতি বিদর্ভকে ইরানি ট্রফি জিতিয়েছিল তাঁর ২৮০ রানের ইনিংস।
বিরাট কোহালি: আইপিএলের শুরু থেকে একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলা একমাত্র ক্রিকেটার বিরাট কোহালি। এই মুহূর্তে আরসিবির অধিনায়ক কিন্তু সেই ম্যাচে মাত্র ১ রান করে অশোক ডিন্ডার বলে আউট হন। বর্তমানে আরসিবির অধিনায়ক তিনি। ছবি: এএফপি।
জাক কালিস: প্রবাদপ্রতীম এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার আরসিবির হয়ে তিনটি মরসুম খেলেছিলেন। সে দিনের ম্যাচে বল হাতে রিকি পন্টিংয়ের উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে মাত্র ৮ রান করেন তিনি। বর্তমানে নাইট রাইডার্সের কোচিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
ক্যামেরন হোয়াইট: সেই সময়ে হার্ড হিটার এই অজির টি২০-তে দর ছিল প্রচুর। কিন্তু আরসিবির হয়ে তেমন খেলতে পারেননি হোয়াইট। নাইটদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তাঁরা এক ওভারে ২৪ রান করেন ম্যাকালাম। পরে ব্যাট করতে নেমে ১০ বলে ৬ রান করেন হোয়াইট। আইপিএলে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার পর চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে ফের ডাক পেয়েছেন।
মার্ক বাউচার: সে বারে আরসিবির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তবে সে দিনের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বাকি ব্যাটসম্যানদের মতো রান পাননি তিনিও। ৯ বলে ৭ রান করে সৌরভের বলে আউট হন। আরসিবি ছাড়াও নাইটদের হয়েও খেলেছেন তিনি। বর্তমানে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
বালাচন্দ্র অখিল: বেঙ্গালুরুর হয়ে ডেকানের বিরুদ্ধে তার ৭ বলে ২৭ ছাড়া মনে রাখার মতো তেমন কিছু করেননি কর্নাটকের এই অলরাউন্ডার। নাইটদের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে কোনও রানই করেননি তিনি। বর্তমানে কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগের একটি দলের ক্যাপ্টেন অখিল।
অ্যাশলে নফকে: আইপিএলে নিজের একটিমাত্র ম্যাচ সে দিনই খেলেছিলেন নফকে। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এই বোলার। ২০১০ সালে কেরিয়ার শেষ করে বর্তমানে কুইন্সল্যান্ড বুলসের কোচিং করছেন।
প্রবীণ কুমার: সেই ম্যাচে আরসিবির সফলতম ব্যাটসম্যান ছিলেন প্রবীণ। ১৮ রান করেন তিনি। তবে বল হাতে ৪ ওভারে ৩৮ রান দেন। বহু দিন ভারতের জাতীয় দলে খেলা এই ডানহাতি পেসার বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন।
জাহির খান: আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম উইকেটটি নিয়েছিলেন তিনিই। তবে সে দিন একেবারেই ভাল বল করেননি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই পেসার। আরসিবি ছাড়াও দিল্লি এবং মুম্বইয়ের হয়ে খেলা এই বাঁহাতি পেসার বর্তমানে মুম্বই লিগের মেন্টর ও ধারাভাষ্যকারের কাজ করছেন।
সুনীল জোশী: দেশের হয়ে অসংখ্য ম্যাচ খেলা জোশী সে দিনের ম্যাচে ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের বোলিং পরামর্শদাতা।