ফিরে গিয়েছিলেন পুরনো দল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে। ম্যানেজমেন্ট তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিল অধিনায়কত্ব। কিন্তু মাঝ পথেই সেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গৌতম গম্ভীর। দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। শ্রেয়াস আইয়ারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দিল্লির দায়িত্ব। তবে গম্ভীর প্রথম নন। এর আগেও আইপিএলের মাঝপথে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন অনেকে।
হরভজন সিংহ: ২০০৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক থাকার সময়ই শ্রীশান্তের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। সাসপেন্ড হয়ে ছাড়তে হয় অধিনায়কত্ব।
ভিভিএস লক্ষ্মণ: ২০০৮ সালে টুর্নামেন্টের মাঝ পথে ডেকান চার্জার্সের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। দায়িত্ব পান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। শোনা গিয়েছিল খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তাঁক সরে যেতে বাধ্য করেছিল ম্যানেজমেন্ট।
কেভিন পিটারসেন: দেশের হয়ে খেলার জন্য ২০০৯ সালে আরসিবি ছাড়তে বাধ্য হন দলের ক্যাপ্টেন কেভিন পিটারসেন। দায়িত্ব পান অনিল কুম্বলে। সে বার ফাইনালে উঠেছিল বেঙ্গালুরু।
কুমার সঙ্গকারা: ২০১২ তে ডেকান চার্জার্সের অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু, নিজের পাশাপাশি দলের খারাপ ফলের দায় নিয়ে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন সঙ্গকারা। দায়িত্ব পেয়ে অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি ক্যামেরুন হোয়াইট।
ড্যানিয়েল ভেত্তোরি: ২০১২তে দলের মধ্যে মত বিরোধের কারণে অধিনায়কের পদ ছে়ড়ে দেন। পরবর্তীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক করা হয় বিরাট কোহালিকে। ভেত্তোরি এখন বেঙ্গালুরুর কোচ।
রিকি পন্টিং: ২০১৩ তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক করে হয়েছিল। কিন্তু, খারাপ ফর্মের জন্য দায়িত্ব ছেড়ে দেন। অধিনায়ক করা হয় রোহিত শর্মাকে।
শিখর ধবন: ২০১৪ তে হায়দরাবাদের হয়ে ১০ ম্যাচে ২১৫ রান করেছিলেন। তার পর দায়িত্ব ছাড়েন শিখর। দল পরিচালনার দায়িত্ব পান ড্যারেন স্যামি।
শেন ওয়াটসন: ২০১৫ সালে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন। তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব পান স্টিভ স্মিথ। আচমকা কেন ওয়াটসনকে সরানো হল, তা নিয়ে অবশ্য কিছু জানায়নি ম্যানেজমেন্ট।
ডেভিড মিলার: ২০১৬ তে পঞ্জাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মিলারকে। কিন্তু, ছ’টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হেরে যায় দল। এর পর দলের দায়িত্ব চলে যায় মুরলি বিজয়ের কাঁধে। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। পরবর্তী ৯ ম্যাচের ছ’টিতে হারে পঞ্জাব।
গৌতম গম্ভীর: একেবারেই রান পাচ্ছিলেন দিল্লির অধিনায়ক। হারছিল দলও। খারাপ পারফরম্যান্সের যাবতীয় দায় নিয়ে সরে দাঁড়ান গম্ভীর। নতুন নেতা হন শ্রেয়াস আইয়ার।